গল্প নয়, ঘটনাটি সত্যি। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের শান্তিপুরা ট্রাফিক সার্কেলে, যেখানে আইন শিক্ষার্থী অনিল হাড়িয়া হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর কারণে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার বিরুদ্ধে ৫০০ টাকার জরিমানা জারি করা হলেও, ভুল এন্ট্রির কারণে সেটি ১০,০০,৫০০ টাকায় পরিণত হয়। পুলিশ নিজেও এই ভুল স্বীকার করেছে এবং সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে গোপনে থানায় পৌঁছান লাইনম্যান, চুপচাপ করলেন এই বিশেষ কাজ! তারপর যা হল…
অনিল হাড়িয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, “পুলিশ আমার ছবি তোলে ও লাইসেন্স নম্বর নোট করে। কিছুদিন পর আমি ভুলবশত জরিমানার বিষয়টি ভুলে যাই। তবে সম্প্রতি যখন আমি আমার বাইকের কিছু কাজের জন্য আরটিও অফিস যাই, তখন জানতে পারি যে আমার নামে মোট চারটি চালান রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি জরিমানা অনলাইনে পরিশোধ হয়ে গেছে, কিন্তু চতুর্থটি রয়ে গেছে।”
এরপর ৮ মার্চ ওধব থানার পক্ষ থেকে আদালতের সমন পাওয়ার পর যখন অনিল চালান পরীক্ষা করেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান। সেখানে মাত্র ৫০০ টাকার জরিমানার পরিবর্তে ১০,০০,৫০০ টাকা দেখানো হয়েছে!
চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র অনিল বলেন, “আমার বাবা একজন ছোট ব্যবসায়ী। আমরা কীভাবে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করব?” তিনি আরও জানান যে, মঙ্গলবার তিনি মেট্রোপলিটন কোর্ট-এ মামলা দায়ের করেছেন এবং সমাজকর্মী হর্ষদ প্যাটেল-এর সাথে পুলিশ কমিশনারের অফিসেও গিয়েছিলেন। সেখানকার কর্মীরা তাকে ই-মেইল করে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন।
অনিলের দাবি, আদালতের পোর্টালে ভুলবশত মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের ধারা ১৯৪D অনুযায়ী “গাড়ির ওজন সীমার বেশি” হিসেবে তার ভুল নথিভুক্ত হয়েছে, অথচ এটি শুধুমাত্র হেলমেট না পরার মামলা ছিল।
ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এনএন চৌধুরী জানান, “৯০ দিন পর আদালতে চালান পাঠানোর সময় কোনও টাইপিং ভুল হয়েছে। আমরা আদালতকে জানিয়ে এটি সংশোধন করব। এই ভুল কোথায় হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।” তিনি আশ্বস্ত করেন যে, ছাত্রকে এই বিষয়ে কোনও হয়রানির শিকার হতে হবে না।
একটি ছোট ভুল, বড় শিক্ষা! এই ঘটনা শুধু প্রশাসনের ভুলকেই তুলে ধরে না, বরং সাধারণ নাগরিকদের জন্য বড় শিক্ষা। ছোট একটি টাইপিং ভুলের কারণে একজন ছাত্র এবং তার পরিবারকে বিশাল সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। অনিল এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন, যাতে তার পরিবারের উপর এই অযাচিত বোঝা না পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই ঘটনাটি ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই ট্রাফিক নিয়ম, পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞান ও ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।