আরও পড়ুন: নেশা ছাড়াতে তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন দুই ভাই, ‘বিষ’ কেড়ে নিল তাদের প্রাণ!
এবার ঘটনা ডিডওয়ানা-কুচামন জেলার। এখানে এক মহিলার সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় ঘটনাটি ঘটে৷ অপারেশনের পর তার পেটে একটি তোয়ালে রেখে দেওয়া হয়েছিল। ওই মহিলা প্রায় তিন মাস ধরে অসহ্য পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন, কিন্তু চিকিৎসকরা তার সমস্যার প্রকৃত কারণ বুঝতে পারেননি। শেষমেশ তাকে যোধপুর এমসে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায়, তার পেটে একটি তোয়ালে রয়েছে। এরপর অপারেশন করে তা বের করা হয়।
advertisement
এই ঘটনা কুচামনের সরকারি হাসপাতালের। প্রায় তিন মাস আগে এক মহিলার সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়েছিল। সেই সময় অপারেশনের পর তার পেটে একটি তোয়ালে রেখে দেওয়া হয়েছিল, যা তার অন্ত্রে আটকে গিয়েছিল। সেলাই শুকিয়ে গেলেও তার পেটে ব্যথা অব্যাহত ছিল। এই ব্যথার জন্য তিনি মকরানা থেকে শুরু করে আজমের পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করান, কিন্তু কোনও স্বস্তি মেলেনি।
আরও পড়ুন: বলুন তো, জিলিপি কোথা থেকে এসছে! এটি কোন দেশের জাতীয় মিষ্টি? ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি
জানা গিয়েছে, আজমেরে চিকিৎসকরা মহিলার সিটি স্ক্যান করিয়ে এটিকে গাঁট বলে উল্লেখ করেছিলেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে যোধপুরে এমসে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় যে, তার পেটে একটি তোয়ালের টুকরো রয়ে গিয়েছে। এরপর পুনরায় অপারেশন করে তোয়ালাটি বের করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ডিডওয়ানা জেলার চিকিৎসা বিভাগে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মহিলার পেটে পাওয়া তোয়ালের একটি অংশ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ডিডওয়ানার সিএমএইচও ডঃ অনিল জুদিয়া এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। এর মধ্যেই সেই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এদিকে, এই ঘটনায় প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, মহিলার পেটে ব্যথার কারণে তার বুকের দুধ তৈরি হয়নি। ফলে নবজাতক শিশুকে বাইরে থেকে দুধ খাওয়াতে হয়েছে। জন্ম থেকেই বাইরে থেকে দুধ খাওয়ার কারণে শিশুটির অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
