রবির রাত হতেই পৃথিবীর ছায়া ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করে চাঁদের উপর। ঠিক রাত ১১টা ১ মিনিটে পৃথিবীর ছায়ায় পুরোপুরি ঢেকে দেয় ‘চাঁদ মামাকে’। একইসঙ্গে যে মুহূর্তের জন্য সকলে অপেক্ষা করছিল তা চাক্ষুস হয়। রক্তবর্ণ আকার ধারণ করছে চাঁদ। পূর্ব গোলার্ধের দেশগুলি থেকে দেখা যাচ্ছে চাঁদের এই রূপ। কলকাতার আকাশও দেখল ব্লাড মুনকে।
advertisement
ভারতের বিভিন্ন শহরেই গ্রহণ দেখতে খোলা আকাশের নীচে জড়ো হয় অসংখ্য মানুষ। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি, জয়পুর, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে সকলে সাক্ষী থাকে এই দৃশ্যের। কোন জায়গায় কেমন ছিব পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ছবি, কেমনই বা ছিল ব্লাড মুন, তার কিছু ঝলক তুলে ধরা হল প্রতিবেদনে।
মোট ৮২ মিনিট ধরে চলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া। রাত ১২টা বেজে ২২ মিনিটে কেটে যায় গ্রহণ। পূর্ণিমার চাঁদে সচরাচর গ্রহণ লাগে না। বছরে মাত্র দু’-তিনবারই ঘটে, যা পৃথিবীর মাত্র অর্ধেক জনসংখ্যারই চোখে পড়ে। এবারে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ভাল ভাবে দেখা যায়। ফলে প্রায় ৬০০ কোটি মানুষ এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়।