সুদীপ রায় বর্মন, আশিস দাস এবং আশিস সাহা- এই তিন বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করায় ত্রিপুরার তিনটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে৷ অন্যদিকে সিপিএম বিধায়ক এবং ত্রিপুরা বিধানসভার রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের মৃত্যুতে যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে৷ এর পাশাপাশি আগরতলা, বরদৌলি এবং সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হওয়ার কথা৷
আরও পড়ুন: বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী! বাংলার বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে 'সর্ববৃহৎ' প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ব্রিটেন
advertisement
গত বছরের শেষে ত্রিপুরার পুরভোটে লড়াই করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ পুরভোটে বিশেষ সাফল্য না পেলেও প্রায় চব্বিশ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল৷ যা যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই ধরেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফের একবার ত্রিপুরায় নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস৷
এ প্রসঙ্গে সুস্মিতা দেব বলেন, 'উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি৷ ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতর খোলা হবে৷ সেখানে বিজেপি-র ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে৷ তার মধ্যেও আমাদের লড়াই, আন্দোলন চলছে৷ কৌশলী হয়েই আমাদের রণকৌশল সাজাতে হচ্ছে৷'
আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়াতেই গৃহ প্রবেশ অস্থায়ী তৃণমূল ভবনের! পুজো করবেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
তৃণমূল সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে লড়াই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আলোচনাও চলছে৷
যদিও তৃণমূলের উপনির্বাচনের লড়ার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষই করেছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব৷ ত্রিপুরার বিজেপি নেত্রী অস্মিতা বণিক বলেন, 'নির্বাচনে বিরোধীরা তো লড়তেই পারে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বগটুই, হাঁসখালির মতো ঘটনা ঘটছে৷ এসব ঘটনার পরেও এ রাজ্যে প্রচার করতে এলে ত্রিপুরার মানুষ জবাব দিয়ে দেবে৷ ত্রিপুরায় তো গণতন্ত্র, সুশাসন রয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের নেতারা ত্রিপুরাকে দেখে শিখতে পারে৷'
উপনির্বাচনের প্রস্তুতি বিজেপি-ও জোর কদমে নিতে শুরু করেছে৷ তবে সুদীপ রায় বর্মনের মতো জনপ্রিয় নেতা কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ায় উপনির্বাচনে বিজেপি-র কাজটাও সহজ হবে না৷