দফায় দফায় তৃণমূল নেতারা গিয়েছেন ত্রিপুরায়। তাদের হাত ধরে একাধিক ব্যক্তি যোগ দিয়েছেন ঘাস ফুল শিবিরে৷ কিন্তু এই সব যোগদানকারীরা কি বার্তা দেবেন মানুষের কাছে পৌছে। তারই হাতেখড়ি শুরু হচ্ছে এবার।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলায় একাধিক নয়া প্রকল্পের কাজের সূচনা হয়েছে৷ এই সব সামাজিক প্রকল্পের লাভ সমাজের সমস্ত স্তর অবধি পৌছে যায়। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প। তৃণমূল সরকার গঠন করলে, ত্রিপুরার মানু্ষও এই ধরণের সমস্ত সুবিধা পাবে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল।
advertisement
তাই কর্মী প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে এই সব প্রকল্প ও তার সুবিধা বোঝাতে।একই সাথে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই যে বিজেপি বিরোধী শক্তির একমাত্র মুখ তা প্রচারের আলোয় আনা হয়েছে। বাংলার ভোটে বিজেপি তার কাছে পরাস্ত হয়েছে এই বার্তা দেওয়া হবে। মানুষের দুয়ারে গিয়ে সময় করে বুঝিয়ে এই প্রচার চলবে বলেই মত নেতাদের।সাংসদ সুস্মিতা দেব যিনি এই কমিটিতেও আছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির জন্য হুঁশিয়ারি, কংগ্রেসের জন্য আগাম সংকেত, দলীয় শারদ সংখ্যায় মমতার স্ট্র্যাটেজি...
তিনি জানিয়েছেন, "আমরা ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করতে চাইনা। মানুষের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপি৷ আর পাশের রাজ্যে মানুষের কাছে মমতা বন্দোপাধ্যায় কিভাবে একাধিক সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন তার ফারাক বোঝানো হবে।"
প্রসঙ্গত, দলের মহিলা কর্মীদের সম্মেলনে হোম ওয়ার্ক দিয়ে এসেছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সময় নিয়ে মহিলাদের বিভিন্ন বাড়িতে যাওয়া। প্রতিবেশীদের বোঝানো। তাদের সাথে সময় নিয়ে গল্প করা। আপাতত এই সবের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। অন্য দিকে যোগদান পর্ব অঅব্যাহত থাকছে।একই সাথে নতুন কমিটি ঘিরে যাতে কোনও মনোমালিন্য না থাকে সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। মূল লক্ষ্য ২০২৩ এর ভোট। তাই মান অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে ঝাঁপানোর নির্দেশ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের।