জামিন পাওয়ার পরেও ফের সাকেত গোখলেকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতেই গুজরাত পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন ও শান্তনু সেন। রয়েছেন লোকসভার সাংসদ সুনীল মণ্ডল, খলিলুর রহমান এবং অসিত মাল। কী কারণে সাকেতকে জামিন দেওয়ার পরেও তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে, তা স্থানীয় প্রশাসনের থেকে জানতে চাইবেন তৃণমূল সাংসদরা।
advertisement
সাকেতের গ্রেফতারি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন তীব্র কটাক্ষ করেন এই পদক্ষেপের।
এদিন ভোর রাতেই গুজরাত রওনা হন তৃণমূল সাংসদরা। রাতভর জেগে পোস্টার লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। পোস্টারে লেখা 'সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন বিজেপি সরকারের হাতের পুতুল। এটাই তার প্রমাণ।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই গুজরাতে রেকর্ড আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। আর সেদিনই ফের গ্রেফতার সাকেত। জয় এবং সংখ্যা গরিষ্ঠতার অহংকারেই বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: আজ ফের মুখোমুখি মোদি-মমতা! জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
ইতিমধ্যেই সাকেতের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ‘আপত্তিকর’ ট্যুইট করার অভিযোগেই গুজরাত পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেতকে। যে ট্যুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেটি গত ১ ডিসেম্বর নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবি সেতু ভাঙার পর সেখানে মোদির পরিদর্শনের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ হয়েছে শুধুমাত্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠান এবং ছবি তোলার জন্য। যেখানে মোরবি সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’
সাকেতের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ট্যুইটারে লেখেন, "মানুষের জীবনের বিনিময়ে নিজের আখের গোছানো শাসকের বিরুদ্ধে নির্ভীক ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সাকেত। ভয় পেয়ে বিজেপি গুজরাত পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে আমাদের জাতীয় মুখপাত্রকে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজস্থানে সাকেতের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, 'খুব খারাপ এবং দুঃখের খবর। সাকেত খুবই ঝকঝকে মানুষ। সামাজিক মাধ্যমে খুবই জনপ্রিয়। তিনি কোনও ভুল করেননি।' তাঁর কথায়, 'আমার বিরুদ্ধেও তো কত ট্যুইট হয়। সাইবার অপরাধের বিষয়টি অবশ্যই দেখা উচিত। যেখানে দেশের বিপদ হতে পারে, ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়, এমন কোনও বিষয়ে ট্যুইট করা উচিত নয়। তবে তিনি তো মোরবি সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে ট্যুইট করেছেন। এই প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপকে ধিক্কার।'