ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার ছেলে, প্রতীক কিশোর দেববর্মা, বুধবার আগরতলায় আসা সংসদ সদস্যদের কিছুজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। সেই সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ৷ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ওঠে নিন্দার রোল৷
advertisement
কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং-সহ হোটেল কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়েছিলেন প্রতীক কিশোর দেববর্মা, এমন অভিযোগ৷ এমনকী হোটেল কর্তৃপক্ষকেও তিনি গালিগালাজ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ এরপরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ পরে হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতীক কিশোরকে হোটেল থেকে বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেন৷
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ট্যুইট করেছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস আরও অভিযোগ করেছে যে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। "তিনি মদ্যপ অবস্থায় ঝগড়া করেছেন। মাননীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তারপরও ত্রিপুরা পুলিশ গোটা ঘটনা সামনে দাঁড়িয়ে চাক্ষুষ করেছে, কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে৷ এর মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপ্লব দেবের গুন্ডারাজ চলছে ত্রিপুরাজুড়ে!" অভিযোগ তৃণমূলের৷
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস ট্যুইটারে লিখেছে: "অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা! বিপ্লব দেবের গুন্ডারাজের জেরে, সিনিয়র মন্ত্রীদের ছেলেরা এখন সংসদ সদস্যদের গালিগালাজ করার সাহস পায়! ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংসদ এবং আমাদের সংবিধানের প্রতি সামান্যতম সম্মান প্রদর্শন করেন না৷ তাঁকে অনুসরণ করে ত্রিপুরার অন্যান্য মন্ত্রী এবং তাদের গুন্ডাবাজ ছেলেরাও সেই পথে হাঁটছে!"
এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিকের বক্তব্য, ‘‘গত চার বছরে আমাদের ত্রিপুরার রাজ্যের যা পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে আমাদের রাজ্যের সুনাম ধুলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।আমাদের রাজ্যে একজন প্রতিনিধি দল এসেছিল লোকসভা থেকে, তারা এক স্থানীয় হোটেলে ছিল। সেই হোটেলে এই রাজ্যের একজন মন্ত্রীর ছেলে দুর্বৃত্তায়ন আমরা লক্ষ্য করেছি ৷ গত চার বছরে আমরা লক্ষ্য করেছি, মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, তাদের আত্মীয়রা যে পরিমান প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তায়ন করছেন, তাতে রাজ্যের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ৷ ’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার, এত বড় ঘটনা হল কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এখানে মন্ত্রী, বা তাদের আত্মীয় হলে তাদের জন্য কোনও আইন নেই। এরই নাম হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার।আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, যে দ্রুত যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷’’
আবীর ঘোষাল