তৃণমূলের অভিযোগ, বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করায় প্রচারে সমস্যা হচ্ছে জোড়াফুল শিবিরের।
আরও পড়ুন: বদলে যাবে আসানসোল ও বালিগঞ্জে উপনির্বাচনের দিন? সম্ভবনা প্রায় নেই!
তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। তার মধ্যেই চলবে নির্বাচনের প্রচারপর্ব।
advertisement
গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আসনে উপনির্বাচন করতেই হবে। অন্যদিকে মাসখানেক আগে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনটি খালি হয়।
আরও পড়ুন: বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার জন্য আসানসোল আসছেন সোনাক্ষী, কবে শুরু প্রচার?
তৃণমূলের বক্তব্য, বালিগঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য আরও সময় ছিল। সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটির উপনির্বাচন করে নিতে পারত নির্বাচন কমিশন। বালিগঞ্জ কেন্দ্রের জন্য তো এখনও অনেক সময় ছিল।"
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "আসানসলে কেন্দ্রে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিতে পারত। বালিগঞ্জে সেই সমস্যা নেই। আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন তাদের মতো করে দেখছে। আমাদেরও বলা হয়েছে, যাতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা যায়।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বালিগঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়৷