প্রসঙ্গত, গতকাল, মঙ্গলবার, সংসদ ভবনের বাইরে বিজয় চকে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন মেঘালয়ের ৬ জন নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা। তৃণমূলের দাবি গারো এবং খাসি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মেঘালয় এবং অসমের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমানা সমস্যা দূর করারও দাবি তোলা হয় তৃণমূলের তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন Manila Earthquake: সকাল সকাল কেঁপে উঠল মানিলা, ছড়াল আতঙ্ক
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডেরেক ওব্রায়েন এবং মুকুল সাংমা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে বলে অভিযোগ তোলেন ডেরেক। মুকুল সাংমা বলেন, এমনভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে যাতে সমস্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষিত থাকে।
মেঘালয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই তৃণমূলের সাতজনসহ মোট ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার খবর আসে। রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড হন সাত জন তৃণমূল সাংসদ৷ এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত তাঁদের উপরে সাসপেনশন বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান৷ তৃণমূল ছাড়াও সব বিরোধী দল মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷
মঙ্গলবারই কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন লোকসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা৷ যে তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, শান্তনু সেন, দোলা সেন, নাদিমুল হক, মৌসম নুর এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস৷ এ দিন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলে রাজ্য সভায় সরব হন তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের সাংসদরা৷ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ সংসদের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান৷