গতকাল লোকসভায় সুকান্ত মজুমদার লিখিত প্রশ্নে জানতে চান, একশো দিনের কাজে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কিনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি জানিয়েছেন, যে প্রশ্নগুলো রাজ্য সরকারের কাছে করা হয়েছিল তার সন্তোষজনক পদক্ষেপ করেছে সরকার। তিনি পরিসংখ্যানও দিয়েছেন কোথায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই জবাবকে হাতিয়ার করে শান্তনু সেন বলেন, "এখন আমার প্রশ্ন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলা যখন প্রথম সারিতে রয়েছে, বাংলা যখন কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পরামর্শ মেনে নিচ্ছে তারপরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। এর কারণ কি? বাংলার প্রতি এই বৈমাত্রিসুলভ আচরণ আর কত দিন চলবে?"
advertisement
আরও পড়ুন, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে কল্লোলিনীতে আজ চাঁদের হাট
তিনি আরও বলেছেন, "রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতা চরম সীমায় পৌঁছেছে বলে নিজের কৃতকর্মের ফল নিজেকেই ভুগতে হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে সবসময় বাংলা প্রথম সারিতে থাকলেও ভারত সরকারের বৈমাত্রিক সুলভ আচরণের জন্য সাড়ে ছ' হাজার থেকে সাত হাজার কোটি টাকা বাংলার বকেয়া ছিল, দিচ্ছিল না। অথচ ১০০ দিনের কাজের মজুরি ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা।"
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তের জন্য বিশেষ দল পাঠিয়েছিল। সেই দলের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যকে পদক্ষেপ করার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেছে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, একশো দিনের কাজে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় ৫ জন সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১১৯ জনকে শোকজ নোটিশ, তথ্যসংগ্রহ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। ৯ জন সুপারভাইজার এবং ৪ জন সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানান নিরঞ্জন জ্যোতি। রাজ্যের ৩৭ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রযু্ক্তিবিদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। নিরঞ্জন জ্যোতির দেওয়া পরিসংখ্যান সবচেয়ে বেশী টাকা উদ্ধার হয়েছে সুকান্তের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জেলা থেকে মোট ১৯ লক্ষ ১২ হাজার ৫৯৫ টাকা উদ্ধার করেছে প্রশাসন।