শান্তনু সেন বলেছেন, "ভারতে যখন ওষুধের আকাল ছিল সেই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে দেশ থেকে হাইড্রক্সি ক্লোরকুইন এবং রেমডিসিভির পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকা সত্বেও পশ্চিমবঙ্গের অক্সিজেন রাজ্যের অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন সংস্থা আগে থেকে ভারতকে তিরস্কার করেছে। তথ্য দিয়ে তারা জানিয়েছে করোনায় ভারতে ৪৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেও যদি কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা না নেয় তাহলে আমরা প্রমাদ গুনছি ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে।"
advertisement
তিনি বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে শান্তনু সেন বলেন, "দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে একমাত্র মোদি শাহের রাজ্য গুজরাতে। কোনও দল বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতেই পারে। "
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় কী করণীয়? রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারত জোড়ো যাত্রায় সতর্কবার্তা পাঠানো নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা দেখেছি দু' দিন আগেই বিজেপি নেতার ছেলের বিয়েতে কোনও এক সময় যাঁকে দেখা গিয়েছিল আধিকারিককে ব্যাট দিয়ে পেটাতে দিল্লিতে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির তাবড় নেতারা ভিড় জমিয়েছেন। মাস্ক ছাড়াই আমোদ প্রমোদ চলছে। এই নেতারাই সংসদে এসে নিয়মের কথা বলছেন। শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, করোনা মোকাবিলায় উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।"
টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন শান্তনু সেন। তাঁর জবাবে সুভাষ সরকার বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ এবং জাতীয় স্তরে পরীক্ষায় কোনও পড়বে কিনা, তার জন্য প্রতি মূহুর্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার পুরোপুরি তৈরি বলে জানিয়েছেন সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গে কোনও সময় টিকার জোগানের অভাব ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত টিকা পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছেন সুভাষ সরকার।