সুদীপ রায় বর্মন যে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা বিজেপি নেতৃত্বের অজানা নয়৷ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ৷ তার পরেও তাঁর দাবির মানার রাস্তায় হাঁটেনি দল৷ বরং সুদীপের কোর্টেই বল ঠেলে দিল বিজেপি৷
ত্রিপুরায় সুদীপ রায় বর্মনের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট৷ তিনি শেষ পর্যন্ত সত্যিই তৃণমূলে যোগ দিলে ঘাসফুল শিবির যে ত্রিপুরায় একধাক্কায় অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তাও বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এ সব কিছু জেনেও সুদীপের চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে রাজি নয় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ফলে এর পরেও সুদীপ বিজেপি-তে থাকবেন কি না, সেই প্রশ্নেই এখন সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি৷
advertisement
সুদীপের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত বিজেপি-র বিচ্ছেদ হলে সবথেকে লাভবান হবে তৃণমূলই৷ কারণ বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগে থেকেই ত্রিপুরায় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মুখ পেয়ে যাবে তারা৷ সোমবারই নিজের অনুগামী প্রায় দু' হাজার নেতা, কর্মীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন সুদীপ৷ সেখানে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন৷ ফলে আকারে ইঙ্গিতে সুদীপও বিজেপি নেতৃত্বকে নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে শুরু করে দিয়েছেন৷ এমন কি, দিন কয়েক আগে নিজের অনুগামী দুই বিধায়ককে নিয়ে সুদীপ কলকাতায় এসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করে গিয়েছেন বলে খবর৷ সবমিলিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলছেন অনেকেই৷
সুদীপ রায় বর্মনকে দলে টানতে পারলে যে ত্রিপুরায় বিজেপি-র সংগঠন এবং জনসমর্থনে বড়সড় থাবা বসানো যাবে, তা ভালই জানে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ বিজেপি তাঁর দাবি না মানার পর সুদীপ এবার কী করেন, তা হয়তো আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে৷