প্রসঙ্গত, বিজেপি-র সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে কলকাতায় এসে কালীঘাট মন্দিরে মস্তক মুণ্ডন করে আদিগঙ্গায় স্নান করেছিলেন ত্রিপুরার এই বিজেপি-র প্রাক্তন বিধায়ক। বিজেপি যে ছাড়বেন, তখনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। অপরাধবোধ থেকেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আশিস দাস ত্রিপুরায় ডালাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ত্রিপুরা রাজনীতিতে আশিস দাস বিধায়ক বিপ্লব দেব বিরোধী গোষ্ঠীর সুদীপ রায় বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর এই সুদীপ রায় বর্মনকে নিয়েই এখনও চর্চা অব্যাহত ত্রিপুরায়। তিনিও কি দলবদল করবেন, তা নিয়ে এখনও চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর তা যদি হয়, তা বিজেপি-র জন্য হবে বিরাট ধাক্কা। আশিস দাসের যোগদান ও তাঁর এই বেনজির প্রতিবাদের ভাষা সেই দলবদলের কোন ইঙ্গিত দিয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আন্দোলনের পিছনে উস্কানি'! কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কারা, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দিলীপ ঘোষের
আরও পড়ুন: প্রার্থী খুঁজুন আগে, বাবুলকে কটাক্ষ করতেই দিলীপ ঘোষ হলেন 'এন্টারটেইনমেন্ট প্যাকেজ'
বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সাফল্য নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরা, গোয়ার মতো ছোট বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় তাই সংগঠন পাকাপোক্ত করতে মরিয়া তৃণমূল। এই আবহে পড়শি রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক দলবদল করে পুরনো দলের বিরুদ্ধে এই ভূমিকায় দেখা গেলে তাতে তৃণমূলেরই জোর বাড়বে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।