সোমবার রাতেও ছিল চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ছিল না বাঘটি। শেষে বন দফতরের তরফ থেকে ডাকা হয় দমকলকেও। রাত থেকে ক্রমে একটি দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। জলের তোড়ে যাতে বাঘ নির্দিষ্ট দিকে চলে আসে, তার প্রক্রিয়া শুরু করে বন দফতর। সেই তাড়ায় বাঘ বেরিয়ে এলে ঘুমপাড়ানি গুলি মারতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কমেনি। খাঁচার পাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থেকেও একাধিক বার শোনা যায় বাঘের গর্জন। এর পর বাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - করোনায় আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ! ভর্তি হাসপাতালে
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, এই শেষ কয়েকদিন আমাদের খুব অ্যাংজাইটিতে কেটেছে। ভয়ে ভয়ে ছিলাম। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল যে বাঘটিকে আমরা ধরব। শেষ পর্যন্ত বনদফতর সাফল্য পেয়েছে। আমি বনদফতরকে ধন্যবাদ দেব, গ্রামবাসীদেরও ধন্যবাদ দেব। বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার পরই, ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন পশু চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, শেষ চার দিন তেমন খাওয়ার জোটেনি এই বাঘের, তার উপর ঘুমপাড়ানি গুলি, ফলে বাঘের শারীরিক অবস্থার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। সে দিকগুলিও খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য যুব সমাজ, ত্রিপুরার ময়দানে খেলা শুরু তৃণমূলের
সাধারণত বাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করা হয়। তার পর বাঘের আশেপাশে পটকা ফাটানো হয়। দেখা হয় বাঘটি সম্পূর্ণ অজ্ঞান হয়েছে কি না। তার পরেই বাঘের কাছে যাওয়া হয়। সাড়ে নটা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এখন শেষ পর্যন্ত বাঘটিকে উদ্ধার করার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে কুলতলির জঙ্গলে।