#উত্তরাখণ্ড: আমাদের সৃষ্ট দূষণ ও জীবজগতের ভারসাম্যর প্রতি আমাদের ঔদাসীন্যের ফলে পৃথিবীর নানা প্রজাতি আজ বিলুপ্ত ও অনেক বেশি প্রজাতি বিপন্ন। বিপন্ন প্রজাতির রক্ষা করা পৃথিবীর স্বাভাবিক বাস্তু তন্ত্র বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট জরুরী। বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষার্থে সরকারের নানা প্রকল্প কথা আমরা জানতে পারি। তৈরি হওয়া নতুন আইন নতুন কমিটি ইত্যাদি। কিন্তু আমরা সহযোগিতার হাত না বাড়ালে এ সমস্ত প্রকল্প কখনোই ফলপ্রসূ হবে না। উদাহরণস্বরূপ, কিছুদিন আগে পর্যটকদের তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, কর্বেট টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে কয়েকটি বাঘ একটি প্লাস্টিকের ড্রাম চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করছে। সেই ছবি জনসমক্ষে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। কতৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। তৈরি হয় বিশেষ তদন্ত কমিশন।
advertisement
কর্বেট টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট একটি প্লাস্টিক মুক্ত অঞ্চল। পর্যটকদের সেখানে প্লাস্টিকের কোনও দ্রব্য নিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। কর্তৃপক্ষর যথেষ্ট কড়াকড়ি প্লাস্টিকের ব্যবহার এর বিষয়। প্লাস্টিকের দূষণের প্রভাবে বন্য সমাজে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। শুধু জঙ্গল না সংলগ্ন নদীর জল দূষিত হয়ে পড়ে। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সেখানে। অথচ সেখানেই একটি বড় প্লাস্টিকের ড্রাম কি ভাবে বনের মধ্যে এসে পড়ল, সেই ব্যাপারে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে, বললেন প্রাণী বিশেষজ্ঞ জয়দেব কুণ্ড।
রাম গঙ্গা নদীর তীরবর্তী বনাধিকার পর্ষদও এই ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য রাজি হয়েছেন। তাঁরা যুগ্ম অনুসন্ধান চালাবেন। সেই সঙ্গে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে যে, নদীতে কোন ভারী বর্জ্য পদার্থ যেন ফেলা না হয়, সেই দিকে নজর রাখতে। ছবিতে চিহ্নিত বাঘ গুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যের কোনও অবনতি হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করার জন্য। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আশায় সমালোচনার শিকার হয়েছে কর্তৃপক্ষ।