স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জিকার সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকম ব্যবস্থা করছে সরকার। তিরুঅনন্তপূরম, ত্রিশূর ও কোঝিকোড়ে মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে জিকা পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই ধাপে এরই মধ্যে আরও ২৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। তবে তার মধ্যে ২৬ জনেরই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে জানা গিয়েছে। তৃতীয় ব্যাচের আটটি নমুনার মধ্যে আরও দুটির রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে রবিবার।
advertisement
করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও প্রথম সন্ধান মিলেছিল কেরলে, এবার সেই একই রাজ্যে সন্ধান পাওয়া গেল জিকা ভাইরাসের। গত ৯ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতীর দেহে ওই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাড়ি পারাস্সালা এলাকায়। তিরুবনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। জিকা হল একটি মশা বাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এর বাহক এডিস মশা। দিনের বেলায় সাধারণত এই মশা কামড় দেয়। চিকুনগুনিয়া রোগের মতো একই উপসর্গ দেখা যায় জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে। সাধারণত জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভয়াবহ শারীরিক কোনও ক্ষতি হয় না। তবে যদি কোনও গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে ইনফেকশন হতে পারে। যৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে ও রক্তের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানোর কাজ চলছে। রাজ্যে সরকারি মোট ২৭টি ল্যাব থেকে জিকা ভাইরাসের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের দিকে নজর দিতে। যাঁদের সামান্য জ্বর, র্যাশ, শরীরে ব্যথা দেখা দিচ্ছে, তাঁদেরই জিকার পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।