এমনই এক সুন্দর পাহাড় আর ঝিমঝিম ঝর্নার খোঁজ মিলতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায়। যেখানে চারপাশে সবুজ মাখা পাহাড়। পাকদণ্ডী বেয়ে উঠতে থাকা পর্যটকের গাড়ির জানলা দিয়ে যে কোনও সময় ঢুকে পড়তে পারে মেঘ। বনপথে বেশ খানিকটা গেলে দেখা মিলবে দেবরাপল্লি জলপ্রপাতের।
আরও পড়ুন- ১২ মাসে ভারতে ‘কত’ প্যাকেট বিরিয়ানি অর্ডার হয়েছে? ‘সংখ্যা’ শুনলে চমকে যাবেন!
advertisement
দেবরাপল্লির নির্ঝর বহু বছর ধরেই পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার প্রাথীপাড়ু গ্রামে এই জলপ্রপাতের অবস্থান।
এখান থেকে নিকটবর্তী শহর হল পিথাপুরম। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে। সেখানেই রয়েছে রেলস্টেশন। রাচাপল্লি গ্রাম থেকেও যাত্রা শুরু করা যায়। রাচাপল্লি জংশন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে জাতীয় সড়ক।
এই জলপ্রপাতে পৌঁছানোর পথে সম্পূর্ণ জঙ্গলা। বনপথের ভিতর দিয়েই জলপ্রপাতের দিকে এগোতে হয়। কিন্তু এই গোটা পথে এমন নৈসর্গিক দৃশ্যের দেখা মিলবে, যা মোহিত করে রাখবে অনেক দিন। পর্যটকরা এখান আসেন পিকনিক করতে। আশপাশের এলাকা ঘুরেও দেখেন অনেকে। খানিকক্ষণ সময় কাটালেই মন ফুরফুরে হয়ে যেতে বাধ্য।
স্থানীয় মহোজওলা আশ্রমের কর্ণধার বাবা মহাদেব বলেন, ভেষজ মিশ্রিত এই ধারা জল। তার ফোঁটায় ফোঁটায় পূর্ণ আনন্দ। তাই এই ধারাপাতে স্নান করলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দূর হতে পারে বলে বিশ্বাস।
আরও পড়ুন- সিগারেটে সুখটান দিয়ে শাশুড়ির তুমুল নাচ! বিয়ের আগে যা করলেন জামাই, হতবাক সকলে
এখানেই রয়েছে শ্রী বৎসভাই রামরাজ গুরুর সহজ ঋষিত্ব সাধনাশ্রম এবং বাবা মহাদেবের মহোজওয়ালা অরণ্যাশ্রম। এই অঞ্চলটি অনেক ঔষধি গাছের আবাসস্থল। স্থানীয়রা বলেন, উত্তর ভারতের পবিত্র হিমালয় পর্বত থেকে গঙ্গার অবিরাম প্রবাহ একটি চোরাস্রোত হিসাবে এখানে আসে এবং এই পর্বতগুলির মধ্য দিয়ে নিচে নেমে যায়।
পূর্ব গোদাবরী জেলার বাসিন্দারা তো বটেই, আশেপাশের রাজ্য থেকেও বহু পর্যটক এই ঝর্নায় আসেন। পরিবারের সঙ্গে মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যেতে পারে আধ্যাত্মিক অনুভব। কাকিনাড়ার কাছে এই জলপ্রপাতটি দেখতে চাইলে একবার আসতেই হবে।