গতকালই সেনার বিশেষ সি-১৭ বিমানে ৩৮টি কফিনবন্দী ভারতীয়র দেহ নিয়ে প্রথমেই তিনি অমৃতসরে পৌঁছন ৷ সেখানে তাঁকে মৃতের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রশ্ন করলে ভি কে সিং বলেন, ‘এটা বিস্কুট বিলি নয় ৷ এটা মানুষের জীবনের প্রশ্ন ৷ আমার এখন কী করার আছে ? আমি কী পকেটে কিছু রেখেছি ?’
advertisement
আরও পড়ুন: দলিত আন্দোলনের পাশে বিরোধীরা, হিংসায় মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতার
তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহেলে ৷ বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তণ সেনাপ্রধান হয়েও কী করে এমন অসংবেদনশীল মন্তব্য করতে পারেন তিনি, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি ৷ ওই ভারতীয়রা বেআইনি ট্র্যাভেল এজেন্টদের হাত ধরে বেআইনিভাবে ইরাকে গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ বেআইনি সংস্থা সম্পর্কে ভারত সরকারের কাছে কোনও তথ্য না থাকার কারণেই সরকার আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলেও এ দিন মন্তব্য করেন ভি কে সিং ৷
আরও পড়ুন: আসানসোল-রানীগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হিউম্যান রাইটস কমিশন
ইরাকে মৃত ৩৯ জনের মধ্যে একজনের দেহ নিয়ে আইনি জটিলতা থাকায় সেই দেহটি ছাড়া বাকি ৩৮ জনের দেহই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এনেছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ বাঙালিও ৷ নিহত খোকন শিকদার তেহট্টের বাসিন্দা এবং নিহত সমর টিকাদার চাপড়ার বাসিন্দা ৷ তাঁদের দেহ গতকাল কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল রাখা ছিল ৷ আজ সকালে হাসপাতালে যান মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস ৷ নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ এরপরেই ২ শ্রমিকের দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা
বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন পরিজনরা ৷