বিহারের বিভিন্ন জেলাতে বিভিন্ন জাতের আম উৎপন্ন হয়। প্রায় প্রতিটি জেলাকে চিহ্নিত করা হয় ওই অঞ্চলের বিশেষ আম দিয়ে। কৃষি বিভাগের মতে, বিহারে মূলত ১২টি বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদিত হয়, বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন। বিহারের ১২টি জেলার এই আমের নামও বিভিন্ন।
আরও পড়ুনঃ টমেটোর পর সেঞ্চুরি হাঁকাল ফুলকপিও, কেন হুড়মুড়িয়ে বাড়ল দাম? কারণ জানলে চমকে উঠবেন
advertisement
বিহারে মোট ৩৮টি জেলা রয়েছে। এই জেলার মধ্যে এমন ১২টি জেলা রয়েছে, যেগুলি আম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালে এখানকার কৃষকরা আম চাষ করে প্রতিবছরেই মোট রকমের মুনাফা অর্জন করেন। বিহারের পশ্চিম চম্পারণকে জর্দা আম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। একই ভাবে সীতামারির বমবাইয়া, দ্বারভাঙ্গার কলকাতিয়া, সুপলের গুলাবখাস, মধুবনির কৃষ্ণভোগ, মাধেপুরা ও কাটিহারের মালদহ, ভাগলপুরের জরদালু, মুঙ্গেরের চুরাম্বা মালদহ, সমষ্টিপুরের বথুয়া, পটনার দুধিয়া মালদহ ও বক্সারের চৌসাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আপনার কি পঞ্চায়েতের ডিউটি পড়েছে? ভোটকর্মীরা ডিসিআরসি পৌঁছতে কোথায়, কখন বাস পাবেন? জানুন
আমের জিআই ট্যাগ
জরদালু আম বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত আমের প্রজাতির মধ্যে গণ্য করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে জরদালু আমের চাহিদা বাড়ছে। সেই কারণে ভাগলপুরের বিখ্যাত জরদালু আমকে ২০১৮ সালে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ প্রদান করা হয়েছে। জরদালু আম এর অনন্য সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য পরিচিত। বছরের পর বছর ধরে এই আম দিল্লির অনেক জায়গাতেই বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরাও একবার হলে এই আমের স্বাদ চেখে দেখতে চান। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশে উপস্থিত সব দেশের হাইকমিশনারের কাছেও এই আম পাঠানো হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী, অফিসারদের পাশাপাশি সাংসদ ও বিধায়কদেরও পাঠানো হয় এই আম।