সূত্রের খবর, বিভিন্ন সদস্যের তরফে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করলে তাঁরা আর সুপ্রিম কোর্টে আসতে চাইবেন না। ফলে মেধাবী আইনজীবীদের থেকে বঞ্চিত হবে শীর্ষ আদালত। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। অন্য আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সংসদীয় কমিটিতে। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর প্রতিনিধিদের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
advertisement
আরও পড়ুন: তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত, বড়দিনে আবহাওয়ার বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, "২০১৮ সালে বিভিন্ন হাইকোর্টে মোট ৫৩৭ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছিল। সে বছরের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৪২৪ জন অর্থাৎ ৭৯ শতাংশই ছিলেন সাধারণ শ্রেণির। ৫৭ জন বা মাত্র ১১ শতাংশ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির, ১৫ জন অর্থাৎ ২.৮ শতাংশ তপশিলি জাতি, ৭ জন বা ২.৮ শতাংশ তপশিলি উপজাতি এবং ১৪ জন বা ২.৬ শতাংশ ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।" কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, এই সংখ্যা থেকেই প্রমাণিত, বিচারবিভাগে বা বিচারপতিদের ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব কতটা কম।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে তৃণমূলের 'দরজা খোলা' নিয়ে পাল্টা দিলীপ ঘোষ, করলেন মারাত্মক দাবি!
সম্প্রতি কলেজিয়াম নিয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে। বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম ব্যবস্থার বদলের দাবি তোলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সুপ্রিম অবশ্য কোর্ট জানিয়েছে, "কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে বেলাইন করার চেষ্টা করবেন না।" এরই মধ্যে সংসদীয় কমিটির এই প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।