রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইটারে লিখেছেন, "ভয় পেয়েছে বিজেপি। সেই জন্যই সংসদে বিতর্ক, আলোচনা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপনে মোদি সরকারকে চেপে ধরার সুযোগ রয়েছে। লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোনও বিরোধী দল বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সে হবে বিজেপির চামচা। আমরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস আলোচনা চাই, মুলতুবি নয়।"
advertisement
আরও পড়ুন- সুমন কাঞ্জিলালের দলত্যাগ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা! আক্ষেপের সুর পদ্ম শিবিরে
কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেন, "তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ‘গুলি মারো’ স্লোগান দেওয়া অনুরাগ ঠাকুরের দাবি, সংসদে আলোচনা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। চরম উপহাস। যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে বিরোধীদের বলতে না দেওয়ায় অচল হয়ে গিয়েছে" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে এই বিক্ষোভ থাকবেন লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।
গত সপ্তাহে বিরোধী ঐক্যের আঁচ আছড়ে পড়ে সংসদের উভয়কক্ষে। একক ভাবে এবং সমবেতভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে আলোচনা চাওয়া হয়। শুক্রবার সকালে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা। স্টেট ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তোলে কংগ্রেস।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "আমরা এর তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি চাই। না হলে প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চাই। এলআইসি, সেবি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে টাকা জমা রেখে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সত্য জানতে আমরা সংসদে আলোচনা চাই।" সকালে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উভয়কক্ষ। পরে সভা শুরু হলে দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভা।
রাজীব চক্রবর্তী