বার্ষিক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৫ সালে নাম, লিঙ্গ, জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ এবং স্থান, বাবার জন্মস্থান এবং মায়ের নাম যুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে আধারকার্ড, মোবাইল নম্বর, রেশনকার্ডের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জন্ম, মৃত্যু এবং অন্যত্র চলে যাওয়ার তথ্য যুক্ত করতে এনপিআর আপডেট করা প্রয়োজন।"
আরও পড়ুন: গভীর রাতের ঘুম ভাঙল আতঙ্কে, প্রবল কম্পনে কাঁপল নেপাল, কাঁপল দিল্লিও
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জিতে এই সব তথ্য যেমন যুক্ত করা হবে, তেমনই জনগণনার কাজও শুরু হবে। জনগণনার প্রথম পর্যায়ের সঙ্গেই জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি বা এনপিআর-এর কাজ শুরু হবে।
বার্ষিক রিপোর্টে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে দেশের মানুষকে অভয়বাণী দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১-২২ বার্ষিক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এই আইন নিয়ে সহানুভূতিশীল এবং সেটির উন্নতি সাধনে সচেষ্ট সরকার। মন্ত্রকের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য নয়। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, "ফলে কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব বা কোনও অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া বা পরিবর্তন ঘটানো হবে না।"
আরও পড়ুন: হার মেনেছে মারণ ভাইরাস! ২০২০-র পর এই প্রথম, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা শূন্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সংসদে পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধন আইন। যদিও এখনও বিধি তৈরি না হওয়ায় তা কার্যকর করা যায়নি। এরমধ্যেই গুজরাটে দুই জেলায় পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এদেশে আশা অমুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের খাস তালুক বলে পরিচিত গুজরাতের আনন্দ এবং মহসেনা জেলা প্রশাসনকে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাবেন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি, ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিরা।