তবে জয়ললিতার উত্থানের ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে এমজি রামচন্দ্রনের (MG Ramachandran) কথা বলতেই হয়। কী ছায়াছবির জগতে হোক, কী রাজনীতির জগতে- জয়ললিতাকে তিলে তিলে তৈরি করেছিলেন তিনিই! তাঁদের প্রণয় নিয়েও নানা কিবংদন্তি প্রচলিত আছে দেশে। ফলে জয়ললিতার মন্দিরে ঠিক তাঁর পাশেই স্থান পেয়েছে রামচন্দ্রনের মূর্তিও। এই দুই মুখ্যমন্ত্রীই এখন তামিল নাড়ুর নতুন দেব-দেবীর পদে শোভা পাবেন! তাঁদের ব্রোঞ্জের অবয়ব অনুরাগীর মনে জাগিয়ে তুলবে অজস্র স্মৃতি।
advertisement
জয়ললিতা আর রামচন্দ্রনের এই মন্দির তৈরি হয়েছে ১.৫ একর জমির উপরে, তা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। এই মন্দিরটি তৈরিতে সরাসরি ভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী আরবি উদয়কুমার (RB Udhayakumar)। তাঁর রাজনীতির জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জয়ললিতার হাত ধরেই। আর এবার মন্দিরে দেবী হিসেবে জয়ললিতার পূজা শুরু হবে উদয়কুমারের প্রত্যক্ষ পদক্ষেপে।
রাজনীতিবিদদের বক্তব্য, বর্তমানে জয়ললিতার AIADMK দল খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তা বেশ বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল। সেই জায়গা থেকে AIADMK-র জায়গা মজবুত করে জয়ললিতার স্মৃতিকে হাতিয়ার করবে এই মন্দির। ঠিক যেমন তাঁর বাসভবন বেদ নিলয়মকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়েছে, ঠিক সেই পদক্ষেপ অনুসরণ করেই এই মন্দিরের আয়োজন।
যদিও উদয়কুমার সে কথা স্বীকার করছেন না। তিনি জানিয়েছেন যে আম্মাকে তাঁরা নানা নামে ডাকতেন। তাঁর নামের সঙ্গে জুড়েছিল ইদায়া তেইবম (হৃদয়েশ্বরী), কবল তেইবম (রক্ষাকর্ত্রী), কুলস্বামীর মতো নানা বিশেষণ। সেই সত্ত্বার প্রতিই শ্রদ্ধাঞ্জলি এই মন্দির! তিনি আরও জানিয়েছেন যে মন্দিরের চারপাশের বাগানটি যথেষ্ট প্রশস্ত, করোনাকালে ভিড় না করেও অনুরাগীদের দেবীদর্শনে অসুবিধা হবে না!