জন্মসূত্রে এই তামিল টেলিকম-টাইকুনের বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকার ছিলেন তাঁর পুত্র আজাহন৷ টেলিকমের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম, খনিজ তেল এবং গ্যাস, রিয়েল এস্টেট এবং উপগ্রহ ক্ষেত্রেও তাঁর বিনিয়োগ ছিল৷ ৯ টি বহুজাতিক সংস্থায় ছিল তাঁর শেয়ার৷ সীমাহীন সম্পত্তি তাঁকে করে তোলে মালয়েশিয়ার ধনীতমদের মধ্যে একজন৷
advertisement
শিল্পপতি পরিচয়ের পাশপাশি আনন্দ একজন প্রথম সারির বৌদ্ধ সমাজসেবীও৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ দান করে থাকেন তিনি৷ জানা গিয়েছে তাঁর সন্তান আজাহন মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সন্ন্যাস গ্রহণ করেন৷ কেন তিনি সংসারত্যাগী সন্ন্যাস হন, তাঁর কোনও কারণ প্রকাশ্যে জানা যায় না৷ তবে জনশ্রুতি, কোনও এক ছুটিতে নিছক মজা করার জন্য তিনি পা রাখেন সন্ন্যাসজীবনে৷ কিন্তু সেই সাময়িক আচার আচরণই তাঁর জীবনে চিরস্থায়ী এবং গভীর হয়ে ওঠে৷ ধনকুবের বাবা ব্যবসা-রাজপাট সামলানোর পরিবর্তে সাধারণ ভিক্ষু-জীবনই তাঁর কাছে হয়ে ওঠে চুম্বক৷
দু’ দশকেরও বেশি সময় হল, সিরিপানয়ো সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী হয়েছেন৷ বনে থাকতে শুরু করেন সন্ন্যাসী হয়ে৷ বর্তমানে তিনি আছেন থাইল্যান্ডের তাও দাম বৌদ্ধ মঠে৷ শোনা যায়, আনন্দ কৃষ্ণণের প্রথম পক্ষের এই সন্তান তাঁর মায়ের দিক থেকে থাইল্যান্ডের রাজ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ এছাড়া তাঁর পূর্বাশ্রম নিয়ে বেশি কিছু জানা যায় না৷ দুই বোনের সঙ্গে তিনি বড় হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডে এবং স্বচ্ছন্দে বলতে পারেন ৮ টি ভাষা৷