স্বাভাবিক ভাবেই জামুই জেলার খাইরা ব্লক এলাকার হড়খদ পঞ্চায়েতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শীলা হেমব্রম স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলে যেটা তাঁর অফিস ঘর হওয়ার কথা, সেটাকেই তিনি নিজের শোওয়ার ঘরে পরিণত করেছেন। ঘরের মধ্যে আরাম এবং বিলাসব্যসনের সমস্ত সামগ্রীরই দেখা মিলবে। এর মধ্যে রয়েছে বিছানা থেকে শুরু করে ফ্রিজ। এমনকী টিভি, আলমারি, টেবিল এবং রান্নাঘরের সামগ্রী রেখে দিব্যি গোটা সংসারটাই তুলে এনেছেন ক্লাসঘরের মধ্যেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শীলা হেমব্রম নিজের স্বামীর সঙ্গে এই ঘরেই এখন থাকছেন। এখানেই শেষ নয়, স্কুলের যে ঘরে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করার কথা, সেই ঘরটিকে ব্যক্তিগত কাজের জন্যও ব্যবহার করছেন ওই শিক্ষিকা।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন কোনটি? নামটা শুনেই গর্ব হবে, কিন্তু উত্তরটা জানেন কি?
বরদায়ুঁর ওই আপগ্রেডেড মিডল স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র তিনটি ঘর। প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয় প্রথম ঘরটিতে। আবার চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ঘরে। আর তৃতীয় ঘরটিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। অথচ এই পরিস্থিতিতেও নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য জরুরি ঘরগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে ওই প্রধান শিক্ষিকার উপরে।
আরও পড়ুন: ভারতের এই রাজ্যে মাত্র একটি রেল স্টেশন! বলতে পারবেন, কোন রাজ্য? অবাক হবেন জেনে
এহেন গুরুতর অভিযোগের মুখে কী বলছেন প্রধান শিক্ষিকা? শীলা হেমব্রমের দাবি, এই মুহূর্তে তাঁর বাড়ি তৈরি হচ্ছে। ফলে আপাতত তাঁদের থাকার কোনও জায়গা নেই। সেই কারণে স্কুলে নিজের অফিস ঘরকেই থাকার কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। জেলাশাসক রাকেশ কুমার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।