সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, টিসিএস-কে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে৷ সম্প্রতি নিজেদের এইচ আর পলিসিতেও বদল এনেছিল টিসিএস৷ সেই পলিসি অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে বছরে ২২৫ দিন ক্লায়েন্টের দেওয়া কোনও একটি প্রকল্পের জন্য কাজ করতেই হবে এবং বেঞ্চ টাইম কমিয়ে ৩৫ দিন করে দেওয়া হয়৷ যার অর্থ, সংস্থার পে রোলে থাকলে বছরে ৩৫ দিনের বেশি কোনও প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে সংস্থা৷
advertisement
টিসিএস অবশ্য দাবি করেছে, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পিছনে এআই-এর কোনও ভূমিকা নেই৷ যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে, তাঁদের সংস্থা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও আশ্বস্ত করেছে সংস্থার সিইও এবং এমডি কে কৃথিভাসান৷ তিনি জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না৷ যে কর্মীরা এর ফলে প্রভাবিত হতে পারেন আমরা প্রথমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলব৷ তাঁদের আমরা একটি সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করব৷ আমরা যদি সেই সুযোগ দিতে না পারি তাহলে আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করব৷
টিসিএস-এর ওই শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থার এইচআর নীতি মেনেই পদক্ষেপ করা হবে৷ নোটিস পিরিয়ডে থাকাকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মীর বেতন, ছাঁটাইয়ের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক এবং অন্যান্য সুবিধা, বিমার মেয়াদ বৃদ্ধি, অন্য কোনও সংস্থায় তাঁদের পুনর্নিয়োগে সাহায্য করা এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করা হবে৷ কৃথিভাসানের কথায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে যথাসম্ভব সহমর্মিতার সঙ্গে এগোতে চাইছি৷
ঠিক কবে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা চূড়ান্ত না হলেও আগামী আর্থিক বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই ছাঁটাই শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে৷