যদিও এহেন দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটেছে। আজ সেই অতীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ কিছু দুর্ঘটনার বিষয়েই কথা বলা যাক।
১৯৮১ বিহার ট্রেন দুর্ঘটনা:
বিহারের সহরসার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তাতে সওয়ার ছিলেন প্রায় ৯০০ জন। লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনটি সোজা বাগমতী নদীতে গিয়ে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ জন।
advertisement
আরও পড়ুন– লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ! চলছে উদ্ধারকাজ, করমণ্ডল এক্সপ্রেস যেন মৃত্যুপুরী
১৯৯৫ ফিরোজাবাদ রেল দুর্ঘটনা:
দিল্লিগামী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কালিন্দী এক্সপ্রেসে গিয়ে ধাক্কা মারে। ওই দুর্ঘটনায় বলি হয়েছিলেন প্রায় ৩৫৮ জন আরোহী।
১৯৯৯ গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনা:
অসমের গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩১০ মাইল দূরে গাইসালের কাছে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় দুই ট্রেনে ছিল আড়াই হাজারেরও বেশি যাত্রী। উচ্চগতিতে ধাবমান ট্রেন দু’টি একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৯০ জন।
১৯৯৮ খান্না ট্রেন দুর্ঘটনা:
পঞ্জাবের নর্দার্ন রেলওয়ের খান্নার কাছে খান্না-লুধিয়ানা সেকশনে কলকাতাগামী জম্মু তাওয়াই-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে অমৃতসরগামী ফ্রন্টিয়ার গোল্ডেন টেম্পল মেলের লাইনচ্যুত ৬টি বগিকে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ২১২ জনের।
২০০২ হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস:
ভারতের দ্রুততম ট্রেন হিসেবে গণ্য করা হয় রাজধানীকে। সেই ট্রেনই ২০০২ সালে পড়েছিল দুর্ঘটনার কবলে। রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ গয়া এবং দেহরি-অন-সোন স্টেশনের মাঝখানে রফিগঞ্জ স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার বলি হয়েছিলেন প্রায় ১৪০ জন আরোহী।
২০১০ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা:
পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি এবং সরডিহার কাছে রাত ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ ঘটে ঘটনাটি। একটি বিস্ফোরণের জেরে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল মুম্বইগামী হাওড়া কুরলা লোকমান্য তিলক জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস। এর পর সেটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় একটি মালগাড়ির। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৭০ জনের।
আরও পড়ুন- অনলাইন লেনদেন এবার হবে আরও আধুনিক! নতুন সুযোগ দেবে পেইউ
২০১৬ ইনদওর-পটনা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা:
কানপুরের পুখরায়নের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস ১৯৩২১। অন্তত ১৫০ জনের মৃ্ত্যু হয়েছিল আর জখমের সংখ্যা দেড়শোরও বেশি।
২০০৫ ভালিগোন্ডা ট্রেন দুর্ঘটনা:
হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছিল একটি ছোট্ট রেলসেতু। ওই লাইন ধরেই ছুটে আসা ডেল্টা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কাছে এসেই লাইনচ্যুত হয়। প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ১১৪ জনের।
২০১০ সাঁইথিয়া ট্রেন দুর্ঘটনা:
পশ্চিমবঙ্গের সাঁইথিয়ার কাছে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস এবং বনাঞ্চল এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের।
২০১২ হাম্পি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা:
অন্ধ্রপ্রদেশের কাছে হুবলি-ব্যাঙ্গালোর হাম্পি এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। তাতে এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যায়। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়।