গত রবিবার বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো অঞ্জলি সিংয়ের ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে গাড়ির চাকায় পা আটকে যাওয়ার পর প্রায় ১৩ কিমি সেভাবেই ছেঁছড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ২০ বছর বয়সি এই তরুণীকে। ঘটনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর দেহ। উঠেছিল যৌন হেনস্থার অভিযোগও। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতে জানা গিয়েছে, বলেনো গাড়ির সামনের বাঁদিকে আটকে গিয়েছিল অঞ্জলির পা। গাড়ির মধ্যে অঞ্জলির উপস্থিতির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এদিকে বাঁদিকের সামনের এবং পিছনের চাকায় সবথেকে বেশি রক্ত মিলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় নামিদামি প্রোডাক্ট ফেল? ফাটা গোড়ালির যত্নে ধন্বন্তরি 'এই' ঘরোয়া 'উপায়'
এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তসলিমা লেখেন, "২০ বছর বয়সি অঞ্জলি সিং স্কুটার চালাচ্ছিল রাতে। একটি বালেনো গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মেয়েটি পড়ে গিয়ে গাড়ির চাকায় আটকে যায়। গাড়ি কিন্তু চলতে থাকে। ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত মেয়েটিকে চাকায় নিয়ে চলে। এরপর রাস্তায় পড়ে থাকে মেয়েটির নিথর শরীর। খুলি আছে, মগজ নেই, শরীর আছে, মাংস নেই। রিব ঢুকে গেছে স্পাইনে, মেরুদণ্ড ঢুকে গেছে পেটে। মোদ্দা কথা থেতলে গেছে শরীর। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে ছিঁড়ে যাওয়া, পিষে যাওয়া, থেতলে যাওয়া ছিন্নভিন্ন শরীরের বর্ণনা আছে। কিন্তু মিডিয়া সেই রিপোর্ট থেকে যে তথ্যকে হাইলাইট করল সেটা হল ভ্যাজাইনা ঠিক আছে, রেপের চিহ্ন নেই। অনেকে স্বস্তি পেয়েছে, যাক, তাহলে ভ্যাজাইনাটা বেঁচে গেছে, রেপ টেপ হয়নি।"
লেখিকার সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন, "একটি মেয়ের ব্রেন, কিডনি, লিভার, হৃদপিণ্ড ফুসফুসের চেয়ে ভ্যাজাইনাকে মূল্যবান বলে ধরা হয়। সোজা কথা, একটি মেয়ের জীবনের চেয়ে ভ্যাজাইনার ইম্পর্টেন্স বেশি। মেয়েটির যে কিডনি লিভার হৃদপিণ্ড ফুস্ফুস ইত্যাদি ভাইটাল অরগান থেতলে গেল, ব্রেন গলে গেল সে নিয়ে মাথা ব্যথার চেয়ে ভ্যাজাইনা নিয়ে মাথা ব্যথাটা বেশি। মেয়েটি ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বীভৎস যন্ত্রণা পেতে পেতে মরে গেছে, সেই নিয়ে দুঃখ করার চেয়ে, মেয়েটি মরেছে মরেছে কিন্তু ধর্ষণের শিকার হয়নি, এই নিয়ে একটি গোপন স্বস্তি কাজ করছে অনেকের মধ্যে।"