রিপোর্টে প্রকাশ, বিমানঘাঁটির সীমানা লাগোয়া ইউক্যালিপটাস গাছে চড়ে এবং দড়ির সাহায্যে ১১ ফুট উঁচু পাঁচিল পেরিয়ে ভেতরে ঢুকেছিল জঙ্গিরা ৷ সন্ধের পর চড়া ফ্লাডলাইটের আলোয় ঘাঁটির বাউন্ডারি ওয়াল এবং সীমানা অঞ্চল বহুদূর থেকেও দেখা যায় ৷ ফ্লাডলাইটের উপর নির্ভর করেই কড়া পাহারা থাকে বায়ুঘাঁটির সীমানায় ৷ হামলার দিন জঙ্গিদের পাঁচিল টপকে অনুপ্রবেশ কারোর নজরে পড়েনি ৷ কারণ, এয়ারবেসের মূল প্রবেশপথের ফ্লাডলাইটগুলির অভিমুখ ছিল আকাশের দিকে ৷ এমনকী, তার কেটে দেওয়া হয়েছিল একটি ফ্লাডলাইটের ‘ওয়াই ওয়্যার’ ৷ তদন্তের সময় এই বিষয়টি নজরে আসতে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়ে যান ভেতরের এক বা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জঙ্গিদের ৷ ঘাঁটির বৈদ্যুতিক সামগ্রীর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৷ ওই কর্মী সম্প্রতি উধমপুর ঘাঁটি থেকে পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে টান্সফার নেন ৷
advertisement
গত ১ জানুয়ারি ভোররাতে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা করে ছ’জন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি ৷ ৩১ ডিসেম্বর রাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল তাঁরা ৷ প্রায় টানা তিনদিন ধরে চলে সেনা-জঙ্গি লড়াই ৷ লড়াইয়ে শহীদ হন সাত ভারতীয় জওয়ান ৷ খতম করা হয় ছয় জঙ্গিকে ৷