৭২ বছর বয়সি ভিক্ষাজীবী পুলপান্ডি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি একা থাকেন। তাঁর খুব সামান্য টাকাই প্রয়োজন হয়। তাই ভিক্ষায় যা পান, তার সবটা দরকার হয় না। বলেছেন, "আমার কোনও পরিবার নেই। তাই জেলায় জেলায় ঘুরে আমি ভিক্ষা করে উপার্জন করি। সেই জেলা ছেড়ে চলে আসার আগে জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সব টাকা দান করে দিই। গত ৫ বছরে এভাবে মোট ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছি। "
advertisement
চিরদিন কিন্তু তিনি একা নন। এক সময় তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে ছিল। গত শতকের আটের দশকে তিনি মুম্বই চলে যান। সেখানে নামমাত্র কাজ করে অন্নসংস্থান করতেন। অর্থাভাবে আজ থেকে ২৪ বছর আগে মারা যান তাঁর স্ত্রী। তাঁর দুই ছেলেকে বড় করে বিয়েও দেন মুম্বই শহরে। সেখানেই আজ তাঁরা থিতু। তবে তাঁরা আর বাবার দায়িত্ব নেননি। কোনও খোঁজখবরও রাখেন না। তাই আজ ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন : বিয়ের মাঝে হৃদরোগ, ছাদনাতলাতেই নিথর বধূবেশী দিদি, বোনের সঙ্গে বিয়ে হল পাত্রের
যত দিন এগিয়েছে, নিজের প্রয়োজন কমিয়েছেন পুলপান্ডিয়ান। অর্থসঞ্চয় বাড়িয়ে তার থেকে দান করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। স্কুল, কোভিড-১৯ রিলিফ ফান্ড, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন এই প্রবীণ। তাঁর এই বিশ্বমানবতার জন্য ২০২০ সালে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন মাদুরাই জেলাশাসকের কাছ থেকে।