জুবিলি হিলস, হায়দরাবাদে ২০ হাজার বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত এই দোকানটি ভারতীয় শিল্প ও কারুশিল্পের জন্য নিবেদিত। স্বদেশ স্টোর, যার লক্ষ্য ভারতের প্রাচীন শিল্প ও কারুশিল্পকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়া। প্রথাগত শিল্পী এবং কারিগরদের পণ্য এবং শিল্প বিক্রয়ের জন্য থাকবে।
নীতা আম্বানি বিশ্বাস করেন, রিলায়েন্স রিটেলের ‘স্বদেশ’ স্টোরগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের প্রাচীন শিল্প প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্ম হবে। পাশাপাশি কারিগরদের আয়ের উৎস হয়ে উঠবে। হস্তশিল্প ছাড়াও, হস্তনির্মিত খাদ্য সামগ্রী এবং কাপড়ের মতো পণ্যগুলিও স্বদেশ স্টোরে কেনার জন্য পাওয়া যাবে।
advertisement
হায়দরাবাদে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীতা আম্বানি বলেন, “স্বদেশ হল ভারতের ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও কারিগরদের সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য একটি উদ্যোগ। এটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র চেতনাকে তুলে ধরে। আমাদের দক্ষ কারিগরদের জন্য মর্যাদার সাথে জীবিকা অর্জনের উপায় হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন- কামরায় মৃতদেহ, তাই নিয়েই সারা রাত ছুটল ট্রেন! রেলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ
মুম্বাইতে সম্প্রতি চালু হওয়া নীতা মুকেশ আম্বানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (NMACC) স্বদেশ এক্সপেরিয়েন্স জোন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক অতিথিরা কর্মক্ষেত্রে দক্ষ কারিগরদের সাথে দেখতে, যোগাযোগ করতে এবং কেনাকাটা করতে পারেন।
NMACC-এর কারিগররা এত বেশি অর্ডার পেয়েছিলেন যে তিন দিনের জন্য তৈরি করা এই অভিজ্ঞতা জোনের মেয়াদ বাড়াতে হয়েছিল। এখানে বিক্রি হওয়া সমস্ত পণ্যের পুরো আয় কারিগরদের পকেটে যায়।
‘স্বদেশ’ ধারণাটি শুধু দোকান খোলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তৃণমূল পর্যায়ে ভারত জুড়ে ১৮টি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আর্টিসান ইনিশিয়েটিভ ফর স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট (RAISE) কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন- ‘স্বচ্ছ দিওয়ালি, শুভ দিওয়ালি’ প্রচার শুরু করল আবাসন ও নগর মন্ত্রক
গ্রাহক যদি স্বদেশ স্টোরে কোনো পণ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে চান, তাহলে ‘স্ক্যান অ্যান্ড নো’ প্রযুক্তির সুবিধাও রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি পণ্য ও তার নির্মাতার পেছনের গল্প জানা যাবে।