মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারে কেন্দ্রীয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেখানে হাজির হয়ে এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে রবিবার উঠে এলো বারবার বাংলার প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, খুন, দুর্নীতি ও অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি অনুপ্রবেশ নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমন শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘‘বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আমরা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ করব।’’ রবিবার মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারের প্রায় শেষ লগ্নে গিয়ে তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় নিশানা করে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু এও দাবি করে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার অনুরোধ করার পাশাপাশি ভারত সরকার বারবার রাজ্য সরকারকে জমি দেওয়ার জন্য চিঠি লিখলেও বিএসএফকে জমি না দেওয়ায় কাঁটাতার লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি।’ সীমান্তের অনেক জায়গাতেই তৃণমূল সরকারের তরফে জমি না পাওয়ার কারণে কাঁটাতারের বেড়া না থাকার ফলেই বেআইনিভাবে যথেচ্ছ পরিমাণে অনুপ্রবেশ ঘটছে বলেও রবিবার মহারাষ্ট্রের প্রবাসী বাঙালিদের কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মহারাষ্ট্রের ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বাংলা সীমান্তের ৭২ টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া লাগানো যায়নি বলেও এদিন সুর চড়ান শুভেন্দু। কাঁটাতারের বেড়া অসম্পূর্ণ থাকার ফলে ‘রোহিঙ্গা’রা দলে দলে ঢুকে বাংলার জনবিন্যাস তো পাল্টে দিচ্ছেই, ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসও পাল্টে দিচ্ছে, এমনকী, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সেই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা আপনাদের মধ্যেও মিশে যাচ্ছে বলে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে হিন্দু তথা মহারাষ্ট্রের প্রবাসী বাঙালিদের এক হওয়ার বার্তা দেন শুভেন্দু।
মূলত বাঙালি অধ্যুষিত মহারাষ্ট্রের দাদর ও পুণেতে দুটি নির্বাচনী সভা ও ২৭টি কেন্দ্রের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে, যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে অন্যতম নির্ণায়ক ভূমিকা রয়েছে বাঙালিদের সেই সমস্ত সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে এদিন সাংগঠনিক বৈঠকও করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শেষ মুহূর্তে শুভেন্দুর ভোটের ‘টিপস’ মহারাষ্ট্র বিজেপির কতটা কাজে লাগে তার উত্তর দেবে সময়ই। এদিকে প্রচার সফরে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ও ইন্ডিয়া জোটকেও মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারের ময়দানে একযোগে তীব্র ভাষায় নিশানাও করেন শুভেন্দু।