সুস্মিতার বাবা প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেব ত্রিপুরা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ ত্রিপুরাকে হাতের তালুর মতো চেনেন সুস্মিতা৷ ত্রিপুরার মানুষেরও সুস্মিতা দেবের প্রতি আলাদা আবেগ কাজ করবে বলেও মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ বিশেষত মহিলাদের তৃণমূলের প্রতি আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন সুস্মিতা৷
ত্রিপুরার জন্য বিশেষ দায়িত্ব পেয়ে সুস্মিতা বলেন, 'দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাই। বিজেপি এখানে প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ। রাজ্যের মানুষের স্বার্থেই আসছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় কংগ্রেস বলে কিছু নেই। কোনও কমিটি পর্যন্ত নেই ওদের।"
advertisement
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুধীর রঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে তৃণমূল নেতৃত্ব৷
আপাতত ত্রিপুরা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ছকে ফেলেছেন অভিজ্ঞ এই নেত্রী৷ আগামী ১৫ দিনে ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা এলাকাতেই পৌঁছে দলের নেতা, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মনোবল বাড়াতে চান সুস্মিতা৷ বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করার কথা তাঁর৷ তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেসের পুরনো কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর৷ কংগ্রেস কর্মীদেরও তৃণমূলে টেনে আনাই লক্ষ্য অভিজ্ঞ এই নেত্রীর৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুধু নিচুতলার নেতা- কর্মীদের সঙ্গে কথা বলাই নয়৷ ত্রিপুরায় আরও বড় লক্ষ্য নিয়ে গিয়েছেন সুস্মিতা৷ সূত্রের খবর, সরাসরি না হলেও ঘনিষ্ঠ এবং অনুগামীদের মাধ্যমে ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন সুস্মিতা৷ সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় ঘাসফুল ফোটাতে গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন সন্তোষমোহন দেবের কন্যা৷
এ দিন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুধীর রঞ্জন মজুমদারের বাড়িতে যান ব্রাত্য বসু, প্রতিমা মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সেই দলেও ছিলেন সুস্মিতা দেব৷ এর পাশাপাশি তৃণমূলের আহত কর্মী বাহারুল ইসলাম মজুমদারকেও দেখতে যান তাঁরা৷