তিনি অসমের দিকপাল কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে শিলচর থেকে সংসদ হয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন। লোকসভায় কংগ্রেসের "সাউটিং ব্রিগেড"-এর প্রায় সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। নানা ইস্যুতে মোদি সরকারকে চেপে ধরতে কংগ্রেসের সংসদীয় রণনীতিকে সুচারুভাবে বাস্তবায়িত করেছেন অসমের এই কংগ্রেস নেত্রী। তিনি রাহুল গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধির বিশেষ ঘনিষ্ঠ নেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে যান তিনি। তার পরেও কিন্তু তাঁকে মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী পদে তুলে আনেন রাহুল গান্ধিই। সেই সুস্মিতা এবার 'হাত' ছেড়ে 'জোড়া ফুল' ধরলেন।
advertisement
মঙ্গলবার দুপুর একটায় দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন সুস্মিতা।উল্লেখ্য, গত রবিবার, ১৫ আগস্ট কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ছাড়ার কথা জানান তিনি। তারপর আজ সোমবার উড়ে যান কলকাতায়। সেখানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদেন।
সোনিয়াকে লেখা চিঠিতে পথ প্রদর্শন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুস্মিতা। তিনি লিখেছেন, ‘জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক ছিল। যা আজ শেষ করছি। পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি আমি সারা জীবন মনে রাখব।’
এদিকে সুস্মিতার জল ছাড়ার খবর এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। টুইটারে তিনি লেখেন, "দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিলেন সুস্মিতা দেব। তরুণ নেতা-নেত্রীরা দল ছেড়ে দিচ্ছেন। আমাদের মত প্রবীনদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। আমরা দলকে শক্তিশালী করতে চাইছি। কিন্তু, শীর্ষ নেতৃত্ব চোখ বন্ধ করে রেখেছেন।" কংগ্রেসের অপর নেতা মণীশ তিওয়ারি টুইটারে লিখেছেন, "সুস্মিতা একসময় কংগ্রেসের স্টুডেন্ট'স ইউনিয়নের সভানেত্রী ছিলেন। হঠাৎ তিনি কেন দল ছাড়লেন কারণ উল্লেখ করা উচিত।"
প্রসঙ্গত, সুস্মিতা দেব কেন দল ছাড়লেন, সেকথা সোনিয়াকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেননি।
-RAJIB CHAKRABORTY