রাজ্যসভায় সোমবার পাশ হয় জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুর্নর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল, ২০২৩৷ গত সপ্তাহেই লোকসভায় পাশ হয়েছিল বিল দু’টি৷
এই দুই বিলের স্বপক্ষে কথা বলতে গিয়ে এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করেন অমিত শাহ৷ বলেন, ‘‘আজ এই দু’টি বিলই রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে৷ আজকের দিনটি জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷’’ এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঙ্কার, ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ আমি আবার বলছি পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের৷ কেউ তা আমাদের থেকে নিতে পারবে না৷ যতক্ষণ দেশের এক ইঞ্চি জমির প্রশ্ন, ততক্ষণ আমরা বড় মনের পরিচয় দিতে পারব না৷’’
advertisement
এদিন কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ফের দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ তোলেন শাহ৷ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘একটা কথা তো সকলের কাছেই পরিষ্কার, ভুল সময়ে যদি যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত না নিতেন (নেহরু) তাহলে এটা হত না৷ ওঁর বিবৃতি আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই, সেটা তো মানবেন আপনারা (কংগ্রেস সাংসদদের উদ্দেশ্যে)!’’
যদিও এদিন জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ বিরোধিতা করে রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সাংসদেরা৷
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ যদিও রাজ্যের স্বীকৃতি খুব তাড়াতাড়িই জম্মু ও কাশ্মীরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে এদিন রাজ্যসভায় জানিয়েছেন অমিত শাহ৷
আরও পড়ুন: মোদির গীতাপাঠ! ২৪ ডিসেম্বরে টেট কি আদৌ হবে? হাইকোর্টে গেলেন দিলীপ ঘোষ
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের যে সিদ্ধান্ত সংসদ এবং রাষ্ট্রপতি নিয়েছিলেন, তা বৈধ৷ এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত এ দিন স্পষ্ট করে দেয় যে, জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ ফলে গোটা দেশের জন্য যে সাংবিধানিক আইন রয়েছে, তা জম্নু কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে৷ কারণ, ভারতে মিশে যাওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরের আর নিজস্ব কোনও সার্বভৌমত্ব নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷