সংসদে সংখ্যার জোরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে কেন্দ্র। এবার কাশ্মীর-যুদ্ধ সুপ্রিম কোর্টে টেনে নিয়ে গেল ৩৭০ ধারা খারিজের বিরোধীরা। সেই যুদ্ধের প্রাথমিক ধাপে, কিছুটা হলেও কেন্দ্রের মোদি সরকারের অস্বস্তি বাড়াল সর্বোচ্চ আদালত। ২৮ অগাস্ট,৩৭০ ধারা বাতিল মামলা সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। অক্টোবর থেকে প্রতিদিন শুনানি হবে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে। ৩৭০ ধারা নিয়ে এদিন কেন্দ্র ও জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিসও পাঠিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
advertisement
শুনানিতে কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নোটিস জারির বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সলিসিটর জেনারেল। তাঁরা বলেন,সুপ্রিম কোর্ট নোটিস জারি করলে সীমান্ত পারে তার প্রতিক্রিয়া হবে। অনেক দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে যার প্রত্যুত্তরে এর পালটা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের জবাব-' আমরা জানি কী করতে হবে। আমরা যা নির্দেশ দিয়েছি, তা পালটাব না'।
দিন কয়েক আগে কাশ্মীরে গিয়েও শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। এরপরই কাশ্মীরের সিপিএম বিধায়ক, ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিন কাশ্মীরে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর শর্তে, ইয়েচুরিকে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে মহম্মদ আলিম সইদ নামে এক কাশ্মীরি আইনের ছাত্রকেও তাঁর অনন্তনাগের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারপতিরা। সূত্রের খবর, সর্বোচ্চ আদালতের সবুজ সংকেত পেয়ে, বৃহস্পতিবারই কাশ্মীর যেতে পারেন সীতারাম ইয়েচুরি।