নয়াদিল্লি: ভাড়াটিয়াদের নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সময়মতো ভাড়া জমা না দিলে ভাড়াটিয়াররা আর আইনগত ভাবে সুরক্ষিত নন! এমনই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রেমিসেস টেন্যান্সি আইন’ এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যদি কোনও ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠানো হয়, তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে বকেয়া ভাড়া সুদ-সহ জমা দেওয়া ভাড়াটিয়ার জন্য বাধ্যতামূলক। এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু কেন? কারণ লিমিটেশন আইনের ধারা ৫ এখানে প্রযোজ্য নয়। এমনই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
advertisement
এই সংক্রান্ত মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি জে. কে. মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চে। সেখানেই এই মামলার শুনানিতে জানানো হয়, নির্দিষ্ট ভাড়া জমা দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়াটিয়া যদি চায়, তাহলে আদালতের কাছে ভাড়ার সঠিক পরিমাণ জানতে আবেদন করতে পারেন। কিন্তু সেই আবেদনও করতে হবে মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই।
বিচারপতি মাহেশ্বরী বলেন, “বিতর্কিত ভাড়ার ক্ষেত্রে, এই আদালতের মতামত ছিল যে WBPT আইনের অধীনে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সুরক্ষার সুবিধা পেতে, ভাড়াটেকে উচ্ছেদ এড়াতে নিম্নলিখিতগুলি কাজগুলি করতে হবে। প্রথমত, তার দ্বারা প্রদেয় ভাড়া জমা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রদেয় ভাড়া নির্ধারণের জন্য একটি আবেদন দাখিল করতে হবে। ভাড়াটে অনুমোদিত ভাড়া জমা দেয়নি, বা পরিশোধ করেনি এবং শুধুমাত্র ১৯৬৩ সালের সীমা আইনের ধারা ৫-এর অধীনে একটি আবেদনের সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণের জন্য আবেদনটি বিলম্বিতভাবে দাখিল করেছিলেন।”
আপিলকারী আইনের ধারা ৭(২)-এর শর্তাবলী অনুযায়ী সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করেছিলেন, যা সিভিল জজকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সময়সীমা বাড়ানোর বিচক্ষণতা প্রদান করে। তবে আদালত জানিয়েছে, এই সুবিধা কেবল তখনই পাওয়া যাবে যখন ভাড়াটিয়া ৩০ দিনের মধ্যে ভাড়া নির্ধারণের জন্য আবেদনের সঙ্গে ভাড়া জমা দেওয়ার দুটি শর্ত পূরণ করবেন।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সময়সীমা মানা অত্যন্ত জরুরি। শুধু আবেদন জানিয়ে বা সময়ক্ষেপণ করে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ আটকাতে পারবেন না। ভাড়াটিয়ার স্বার্থ রক্ষায় আইন থাকলেও, শর্ত পূরণ না করলে সেই সুরক্ষা কার্যকর হবে না। সাধারণত, ভাড়াটিয়ারা তাদের ভাড়ার মেয়াদ এবং ভাড়ার শর্তাবলী মেনে চললে কিছু সুরক্ষা পান। তবে, সময়মতো ভাড়া পরিশোধ না করলে সেই সুরক্ষা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।