একটা পরামর্শের খরচ ১১ কোটি টাকা ! প্রশান্ত কিশোরের তিন বছরের আয় আপনাকে অবাক করবে, কর হিসেবেই দিয়েছেন ১৫০ কোটি টাকা

প্রশান্ত কিশোর ভারতীয় রাজনীতি জগতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁর হিসেব খুব একটা ভুল হতে দেখা যায়নি। রাজনীতির জগতের তিনি পরামর্শদাতা, সহজ ভাবে তাঁর সম্পর্কে এটাই বলা যায়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই মূল্যবান পরামর্শ কিশোর বিনামূল্যে বিলিয়ে বেড়ান না। প্রশ্ন এই- আদতে তা ঠিক কতটা ‘মূল্যবান’! (Image PTI File)

নির্বাচনী কৌশলবিদ থেকে জন সুরজ-এর স্থপতি প্রশান্ত কিশোর, সংক্ষেপে পিকে নামেই যিনি বেশি পরিচিত, তাঁর তহবিল এবং ব্যক্তিগত আয় সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন । সোমবার পটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পিকে তাঁর আয়ের একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। (Image PTI File)

প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি নির্বাচনী কৌশল উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে এই অর্থ পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বর্তমান পর্যন্ত গত তিন বছরে মোট ২৪১ কোটি টাকা ফি হিসেবে তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ।

নিজের পেশাগত ফি প্রকাশ করে তিনি দাবি করেন যে তিনি একবার পরামর্শ দেওয়ার জন্য ১১ কোটি টাকা পর্যন্ত চার্জ করেছেন। পিকে নবযুগ কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানির উদাহরণ তুলে ধরেন, যে কোম্পানিতে তিনি মাত্র দুই ঘন্টা পরামর্শ দিয়েছিলেন, যার জন্য তাঁকে ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল।

এই বিপুল আয়ের সঙ্গে সঙ্গেই উঠে আসে করভারের প্রসঙ্গও। সেটাও তিনি এড়িয়ে যাননি। পিকে নিজের আয় প্রকাশ করে বলেছেন যে তিনি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে কর দেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে এই ২৪১ কোটি টাকার আয়ের উপরে তিনি জিএসটি হিসেবে ৩০ কোটি টাকা জমা করেছেন, যা মোট আয়ের ১৮%)। অন্য দিকে, আয়করের আকারে সরকারকে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অর্থ থেকে ৯৮ কোটি টাকা দান করেছেন, যা জন সুরজের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোর একেবারে খোলাখুলি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন যে, যাঁরা তাঁর আয় নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছিলেন তার জবাবেই তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন যে তাঁর লক্ষ্য বিহার থেকে অর্থ উপার্জন করা নয়, বরং রাজ্যের উন্নতির জন্য কাজ করা, যার জন্য তিনি তাঁর সমস্ত অর্থ ব্যয় করবেন।