বিহারে বিশেষ সংশোধনীর নামে ভোটার তালিকা থেকে বেআইনি ভাবে বহু মানুষের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়৷ মামলাকারীদের যুক্তি ছিল, কারও নাগরিকত্ব যাচাইয়ের ক্ষমতাই নেই নির্বাচন কমিশনের৷ এ দিন সেই সমস্ত মামলাই একযোগে শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে৷ নির্বাচন কমিশন অবশ্য শীর্ষ আদালতে পাল্টা দাবি করে তারা ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ শুরু করেছে৷ এই প্রক্রিয়ায় বাধা না দিয়ে সাহায্য করার জন্য পাল্টা আবেদন করে কমিশন৷
advertisement
শীর্ষ আদালত অবশ্য এ দিন কমিশনের সঙ্গে সহমত পোষণ করে জানায়, শুধুমাত্র আধার থাকলেই কেউ নাগরিক নন৷ আধার থাকলেও নাগরিকত্বের যাচাই করাই উচিত৷
তবে জীবিত অনেককেই সংশোধিত তালিকায় মৃত দেখানোর বিষয়টিকে তথ্য আপলোড করার সময় ভুল বলে ব্যাখ্যা করেছে শীর্ষ আদালত৷ মামলাকারীদের পক্ষে বিহারের দুই বাসিন্দাকে আদালতে হাজির করিয়ে অভিযোগ করা হয়, তাঁরা জীবিত থাকলেও কমিশনের নতুন খসড়া তালিকায় ওই দুই ভোটারকে মৃত বলে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড বাদেও যে যে নথি চেয়েছে, তা চাওয়ার অধিকার নির্বাচন কমিশনের আছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা৷
তবে মামলাকীদের এই সমস্ত অভিযোগ এবং দাবিকেই অনুমান ভিত্তিক এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে কমিশন৷ এখনও পর্যন্ত বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরোধিতা করে কোনও রাজনৈতিক দল অথবা ব্যক্তিগত ভাবে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হননি বলেও দাবি করেছে কমিশন৷ সুপ্রিম কোর্টও এ দিনের শুনানি চলাকালীন বলে, কমিশন যে যে নথিগুলি চাইছে, সেই নথিগুলির কোনওটিই বিহারের কোনও বাসিন্দার কাছে নেই, এই যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না৷ গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায়, আগাম নোটিস এবং নির্দেশ ছাডা় তারা কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে না৷ সংশোধিত খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি বিশেষের আপত্তি থাকলে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে বলেও জানিয়েছে কমিশন৷