প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে (SA Bobde)-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আইনগত প্রশ্নগুলি টাটা গ্রুপের পক্ষেই গিয়েছে।
২০১২ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় সাইরাসকে। প্রায় চার বছর এই পদে কাজ করার পর ২০১৬-র ২৪ অক্টোবর ভোটের মাধ্যমে তাঁকে এই পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় টাটা গ্রুপ। সাইরাসকে সরানোর পর অন্তর্বতীকালীন চেয়ারম্যান হন রতন টাটা (Ratan Tata)। কয়েকমাস পর নটরাজন চন্দ্রশেখরনকে (Natarajan Chandrasekaran) গ্রুপের চেয়ারম্যান করা হয়। তার পর NCLAT-তে যায় টাটা সন্স। যান সাইরাসও।
advertisement
এই ঘটনার তিন বছর পর ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ ট্রাইবুনাল রায় দেয়, সাইরাসকে সরানো এবং নটরাজন চন্দ্রশেখরনকে গ্রুপের চেয়ারম্যান করা দু'টোই অবৈধ। পাশাপাশি টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদে সাইরাস মিস্ত্রিকে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইবুনালের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২ জানুয়ারি, ২০২০-তে সুপ্রিম কোর্টে যায় টাটা সন্স। ৬ জানুয়ারি থেকে মামলাটির শুনানি শুরুর আর্জি জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। তার আগে ৫ জানুয়ারি সাইরাস যদিও জানিয়ে দেন, NCLAT নির্দেশ দিলেও টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদে ফিরতে চান না তিনি। পাশাপাশি বলেন, "টাটা সন্সের আংশিক অংশীদার হিসেবে অধিকার রক্ষার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করব। বোর্ড অফ টাটা সন্সের যে পদে তিরিশ বছর ধরে আছি, সেই পদের স্বচ্ছতা এবং মর্যাদা রক্ষা করব।"
২০২০-র পর আজ এই নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট রায় দেয়। জানিয়ে দেয় সাইরাসকে সরিয়ে দেওয়া অবৈধ ছিল না।
এ বিষয়ে রতন টাটা জানান, হারা জেতার ইস্যু এটা নয়। গোষ্ঠীর নৈতিক আচরণ এবং আমার সততার উপরে বার বার আক্রমণ করা হয়েছে। টাটা সন্সের পক্ষে এই রায় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে প্রতিষ্ঠা করে যা সব সময়ে টাটা সন্সকে পথ দেখিয়েছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের রাস্তা দেখিয়েছে।