শীর্ষ আদালতে আবেদনকারী মেরা পীর বলেন, তামিলনাড়ু সরকারের ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সিদ্ধান্ত তুলে রাখা হয়েছিল। আজ পেরারিভালানকে মুক্তির নির্দেশ দেয় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: বদলে যেতে চলেছে লখনউয়ের নাম? নতুন নাম নিয়ে যোগীর ট্যুইটে শুরু জোর জল্পনা!
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে এক নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। সেই মামলায় প্রায় ৩০ বছর জেলে কাটিয়েছে পেরালিভালন। এই বিষয়টিকেও বিবেচনায় রাখছে সর্বোচ্চ আদালত। বেঞ্চ বলেছে, ২০ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছে, এমন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষে অতীতেও রায় দিয়েছে আদালত। এ ক্ষেত্রেও তার কোনও বৈষম্য করা যাবে না।
advertisement
৩১ বছর পর পারারিভালানের মুক্তির পর রাজীব গান্ধি ও তাঁর অন্যান্য দোষী সাব্যস্ত নলিনী শ্রী হরণ এবং তার স্বামী তথা শ্রীলঙ্কারর নাগরিক মুরুগানের মুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ল। রাজীব গান্ধিকে হত্যা করার সময় পেরারিভালনের বয়স ছিল ১৯ বছর। সেই সময় হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্যাটারি কিনে দিয়েছিল পেরারিভালান। রাজীব গাঁধিকে হত্যা করা হয় মূল দোষী সাব্যস্ত নলিনী শ্রীহরণ।
১৯৯৮ সালে পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। পরের বছরেই তার সাজা কমিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত৷ ২০১৪ সালে পেরারিভালানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পেরারিভালানকে নিয়ে তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেন্দ্র।
সরকারের যুক্তি রাজ্যপাল বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠিয়েছেন এবং তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। মামলার শুনানিতে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সিদ্ধান্ত নিতে কেন এত দেরি, সেই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট।
