যদিও সেই আর্জিকে খারিজ করে দিয়ে ওই দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত৷
ওই দম্পতির বিয়েকে মান্যতা দেওয়ার সময় হাইকোর্ট জানিয়েছিল যদি কোনও কিশোরী বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যায় অথবা তার বয়স ১৫ বছরের উপরে হয়, তাহলে সে তার নিজের পছন্দ মতো কাউকে বিয়ে করতেই পারে৷ সেক্ষেত্রে পকসো আইনের বিধিও প্রযোজ্য হবে না৷ জাভেদ এবং আশিয়ানা নামে ওই দম্পতির জীবন এবং স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট৷
advertisement
পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের এই নির্দেশ বাতিল করার আর্জি জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে এনসিপিসিআর৷ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এনসিপিসিআর-কে কড়া ভর্ৎসনাও করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি আর মহাদেবন-এর ডিভিশন বেঞ্চ৷
বিচারপতি নাগরত্ন প্রশ্ন করেন, ‘ওই কিশোরী তার স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে সংসার করছে৷ তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’
একই ধরনের আরও তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে এনসিপিসিআর-কে সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলাগুলিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে৷ ফলে এই ঘটনাগুলিকে বিচ্ছিন্ন হিসেবেই দেখতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
এনসিপিসিআর-এর উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘আপনারা কি বলতে চাইছেন ভালবাসা অপরাধ? যেক্ষেত্রে কোনও অপরাধ হয়েছে, সেগুলি পকসো মামলার অধীনে আসবে৷ কিন্তু কিছু ঘটনা রোম্যান্টিকও হয়৷ যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীরা পালিয়ে যায়৷ এই ঘটনাগুলিকে অপরাধের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না৷’