শুধু তাই নয়, গুজরাত সরকারের ভূমিকা্ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, তথ্য গোপন করে এবং প্রতারণামূলক উপায় অবলম্বন করে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল হয়েছিল৷ ২০২২ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রাস্তোগির (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে ১১ সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার৷ এ দিন সেই নির্দেশও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ পাশাপাশি শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, কেন সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদালতে আবেদন করল না গুজরাত সরকার?
advertisement
সুপ্রিম কোর্ট এ দিন বলে, ‘তথ্য গোপন করে এবং বিভ্রান্তিকর কিছু তথ্য দিয়ে এক সাজাপ্রাপ্ত মুক্তির নির্দেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল৷ কিন্তু এই আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি৷ যা হয়েছে, সেটা প্রতারণা৷’
আরও পড়ুন: ‘প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না,’ গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বার্তা দিলেন মমতা
২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে জেল থেকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার৷ একটি প্রায় বাতিল হয়ে যাওয়া আইনকে অস্ত্র করে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে গোটা দেশে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷
২০০২ সালে গুজরাত হিংসার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সাত জন সদস্যকে হত্যার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ছিল এই ১১ জন আসামী৷ গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সু়প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিলকিস বানো৷ এ দিন রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বি ভি নাগরথানা এবং উজ্জ্বল ভুঞা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ওই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়ার কোনও ক্ষমতা গুজরাত সরকারের নেই৷
বিচাপতিরা জানান,’ গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তে আইনের শাসন ভঙ্গ হয়েছে৷ কারণ গুজরাত সরকারের হাতে এই ক্ষমতা নেই, তারা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে৷ এর ভিত্তিতে মুক্তির সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেওয়া উচিত৷’
শীর্ষ আদালত আরও জানায়, ‘সাজাপ্রাপ্তদের প্রতি গুজরাত সরকার নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে৷ এই আশঙ্কা থেকেই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া গুজরাতের বাইরে চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত৷’