পাল্টা রাজীব কুমারের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম সেরা একজন আইপিএস অফিসারের সম্মানহানি করতে এবং বদনাম করতেই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছে সিবিআই৷
সারদা চিটফান্ড মামলায় ২০১৯ সালে রাজীব কুমারকে প্রথমে আগাম জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ পরে সেই জামিন সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যাহার করে নেয়৷ যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, চাইলে নতুন করে জামিনের আবেদন করতে পারেন রাজীব৷ সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি৷ রাজীবের আগাম জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই আগাম জামিন খারিজ করার আবেদন জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই৷
advertisement
যদিও সিবিআই-এর এই আবেদন দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই৷ সিবিআই-এর হয়ে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ছ বছর আগে আগাম জামিন নেওয়া, আপনারা এতদিনে মামলা করার কথা ভাবেননি?’
জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সিবিআই তদন্তকারীদের আটক করা এবং সিবিআই অফিসারের বাসভবনে হামলা করার ঘটনার যে মামলা, তার সঙ্গে একসঙ্গে শোনা হোক এই মামলা। যদিও সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি প্রথমে মানতে রাজি হননি প্রধান বিচারপতি৷
যদিও রাজীব কুমারের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব পাল্টা সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘সেরা আইপিএস অফিসারকে হেনস্থা করার জন্য, বদনাম করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে রাজীব কুমার এই আগাম জামিন পাওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁকে কুকুরের মতো ধাওয়া করা হয়েছে। কিন্তু অক্টোবর ২০১৯ থেকে একবারও ডাকা হয়নি রাজীব কুমারকে। তিনি বারবার চিঠি লিখে সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করার কথা বলার পরও সিবিআই তাঁকে একবারও তলব করেনি।’ মামলা খারিজ করার আর্জি জানান তিনি।
শেষ পর্যন্ত সলিসিটর জেনারেলের দীর্ঘ অনুরোধের পর অবশেষে মামলা খারিজ না করে শুনতে রাজি হয় সর্বোচ্চ আদালত৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ অক্টোবর৷