নয়াদিল্লি: ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের দাবিই কি এবার সত্যি হয়ে গেল? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিন বছর আগে ইভিএমে নেওয়া ভোট ফের গণনা হল। তার তাতেই উল্টে গেল ফল! হরিয়ানার পঞ্চায়েত ভোটে পরাজিত প্রার্থী মোহিত কুমারকে জয়ী ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন বিরোধীরা ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলত। কিন্তু সেই অভিযোগ বারবার উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
advertisement
যদিও বিজেপিকে সুবিধা দিতে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে বারেবারেই মুখর হয়েছে বিরোধীরা। এরইমধ্যে হরিয়ানার ওই ঘটনা বিরোধীদের দাবিতেই অক্সিজেন জোগাল বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতের মন্তব্য, ‘এ এক চমৎকার জালিয়াতি’। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের কটাক্ষ, ‘ইভিএমের কল্যাণে এমন কত যে ভুয়ো সরপঞ্চ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন! একটি বুথের ইভিএমেরই এই হাল।’ এরপর চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন সহ একাধিক ভোটে গরমিলের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, ২০২২ সালে হরিয়ানায় পঞ্চায়েত ভোটে পানিপথের বাউনা লাকুর সরপঞ্চ নির্বাচনে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। কুলদীপ সিংকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরাজিত প্রার্থী মোহিত কুমার সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে পানিপথের অ্যাডিশনাল সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) কাম ইলেকশন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সন্দেহের তালিকায় থাকা ৬৯ নম্বর বুথের ইভিএমের ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। গত ১ জুলাই ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করে দেয় পাঞ্জাব অ্যান্ড হরিয়ানা হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন মোহিত। ৩১ জুলাই বাউনা লাকুর সব বুথের ইভিএম নতুন করে গণনার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তিন সদস্যের বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিং।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাউনা লাকুরের সব বুথের ইভিএম সহ সমস্ত রেকর্ড শীর্ষ আদালতে আনা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের ওএসডি (রেজিস্ট্রার) কাবেরি সকল পক্ষের উপস্থিতিতে সব বুথের ভোট গণনা করেন। পুরো প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফও করা হয়। ৬ অগাস্ট ফল প্রকাশে দেখা যায়, মামলাকারী মোহিত কুমার ১ হাজার ৫১টি ভোট পেয়েছেন। আর আগের জয়ী ঘোষিত কুলদীপ সিং পেয়েছেন ১ হাজার ভোট।