বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে যে, এই ধরনের ঘটনা বিবেককে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে যে, আবেদনকারীদের বাসভবনগুলি অত্যন্ত নির্মমতার সঙ্গে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
advertisement
বিচারপতি ওকা বলেন যে, “এই গোটা বিষয়টিকে আমরা বেআইনি হিসেবে আখ্যা দিচ্ছি। আর আমরা বলব যে, জমির অধিকার নিয়ে কোনও রকম মন্তব্য করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটা মামলায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আসলে এটা করার এটিই একমাত্র উপায়, যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বদা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা মনে রাখেন।” বিচারপতির বক্তব্য, “এই ঘটনা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। আবেদনকারীদের বাসভবন নির্মম ভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে।”
এদিকে আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে যে, “প্রশাসন এবং বিশেষ করে ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে এটা মনে রাখতে হবে যে, আশ্রয়ের অধিকারও ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।” সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে যে, “এই ভাবে ভাঙচুর চালানো আইনত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অসংবেদনশীল মনোভাবকে তুলে ধরেছে।”
এর আগে অবশ্য প্রয়াগরাজে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করেছিল শীর্ষ আদালত। এবং এ-ও ব্যাখ্যা করেছিল যে, এটি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। আর এটা সকলের মধ্যে ভুল সঙ্কেত প্রেরণ করেছে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেছিলেন যে, রাজ্য সরকার ভুলভাল চিন্তাভাবনায় বশবর্তী হয়ে বাড়িগুলি ভেঙে দিয়েছিল। আসলে তারা ভেবেছিল যে, এই জমিটি গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের মালিকানাধীন। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন আতিক। এর ফলে আইনজীবী জুলফিকর হায়দার, অধ্যাপক আলি আহমেদ এবং অন্যান্যদের বাড়ি ভাঙচুরের মুখে পড়ে। তাঁদের আবেদনেই এহেন নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। অবশ্য তাঁদের বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে যে আবেদন, তা খারিজ করে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
