আর্থিক তছরুপ আইনের দুটি দিক বিবেচনা করবে শীর্ষ আদালত। গত ২৭ জুলাই এই বিষয়ে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে বলা হয় অভিযুক্তকে মামলা সংক্রান্ত তথ্যের কপি দেওয়ার প্রয়োজন নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বলা হয় অভিযুক্তকেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। ইডি অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার দায়িত্ব নেবে না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খানউইলকরের বেঞ্চে এর শুনানি হবে।
advertisement
এদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, "আমাদের মনে হয়েছে প্রাথমিকভাবে এই দুটো দিক বিবেচনা করা দরকার।" দুটি বিষয় নিয়ে বিবেচনার কথা থাকলেও আর্থিক তছরুপ আইনের পুরো বিষয়টি নিয়েই পুনর্বেবিচনা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ তারই বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর মতে, এই দুটো বিষয় নোটিশ পাঠানো উচিত ছিল। যদিও আর্থিক তছরুপ আইনের পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিবাল। শুনানিতে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমার বলেন, "শুনানি বিস্তারিত করার কোনও প্রয়োজন নেই। কালো টাকা রোধ করার উদ্যোগকে আমরা সমর্থন জানাই। এই উদ্যোগ ভাল।"
আরও পড়ুন: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট
ইডিকে প্রায় যাবতীয় ছাড়পত্র দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পিএমএলএ আইনের আওতায় ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল এ বিষয়ে। তার বেশিরভাগই খারিজ হয়ে গিয়েছে বিচারপতি এএম খানউইলকরের বেঞ্চে। সংসদে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের একটি তথ্য দেখিয়ে দিয়েছে, মোদি সরকারের আমলে কতটা প্রবল ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি।