তবে সোমবার শুনানি না হওয়ায় সামান্য হলেও স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এদিন মামলার শুনানি না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননার শুনানিও পিছিয়ে যায়। কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টে তারা আদালত অবমাননার মামলায় কোনও পদক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন: জল কেন 'ভেজা' হয়? উত্তর খুঁজে হয়রান ৯৯ শতাংশ মানুষ! আপনি জানলে কিন্তু আপনিই সেরা!
advertisement
রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই চলছে। গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টেন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ ২০ অগস্টের মধ্যে ডিএ মিটিয়ে দিতে বলা হয়। ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার। কিন্তু বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্র সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আর্জি খারিজ করে দিয়ে পুরনো নির্দেশ বহাল রাখে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নভেম্বর মাসে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। পাশাপাশি সিপিএম, বিজেপি সমর্থক কর্মচারি সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি হরিশ টন্ডন রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শীর্ষ আদালতে মামলা চলছে বলে যুক্তি দেখিয়ে দীর্ঘকাল আদালত অবমাননার মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি। এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের তরফে হাজির ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য, ফেরদৌস শামিমরা।