আদালত চার সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল, যার নেতৃত্বে ছিল প্রাক্তন বিচারপতি জাস্তি চেলমেশ্বর। এই কমিটি হাতিগুলির আইনসম্মত অধিগ্রহণ, কল্যাণ, এবং বনতারা প্রকল্পে আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে তদন্ত করেছে। এর পাশাপাশি, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইন ও আন্তর্জাতিক মান মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও কমিটির ওপর ছিল।
advertisement
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে এবং তাতে বনতারার আইনগত ও নীতিগত নিয়ম মেনে চলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বিচারপতিরা বলেন, “যদি নিয়ম মেনে হাতিগুলি স্থানান্তর করা হয়, তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই।”
বনতারা এবং অনন্ত আম্বানির পক্ষে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি বলেন,”আন্তর্জাতিক কিছু দেশ যারা নিজ দেশে শিকারকে বৈধতা দিয়েছে, তারা ভারতের এই উদ্যোগকে অযথা সমালোচনা করছে, কারণ ভারত ভালো কিছু করছে।” এছাড়া তিনি জানান, তদন্ত কমিটির সঙ্গে বনতারার কর্মীরা পূর্ণ সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: কেন হ্যান্ডশেক করেনি? ভারতের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান! এবার কী হবে?
তবে সালভে উল্লেখ করেন যে, তদন্ত রিপোর্টে কিছু মালিকানাধীন ও গোপন তথ্য রয়েছে যা জনসমক্ষে প্রকাশ করা অনুচিত। সুপ্রিম কোর্টও জানায়, তারা এখনও রিপোর্টটি খোলেনি এবং যথাসময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারপতিরা কমিটির কাজের দ্রুততার প্রশংসাও করেন। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আগামীতেও তারা পুরোপুরি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।