মামলাকারীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙঘভি-র যুক্তি খণ্ডন করে দুই বিচারপতি পাল্টা বলেন, এসআইআর-এ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ভোটারদের থেকে ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি নথি চেয়েছে কমিশন৷ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, ‘আধার নিয়ে আপনাদের যা বক্তব্য, আমরা বুঝতে পারছি৷ কিন্তু যতগুলি নথি চাওয়া হয়েছে, তা কোনওভাবেই ভোটার বিরোধী নয়, বরং তা ভোটার বান্ধবই৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কতগুলি নথি জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে দেখুন৷’
advertisement
আরও পড়ুন: আধার কি নাগরিকত্বের প্রমাণ? এসআইআর মামলায় জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘যদিও ১১ ধরনের নথিই চাওয়া হত, তাহলে না হয় এই প্রক্রিয়াকে ভোটার বিরোধী বলা যেত৷ কিন্তু এখানে ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি চাওয়া হচ্ছে৷’
যদিও বিচারপতিদের এই মতের পাল্টা যুক্তি দেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি৷ তিনি দাবি করেন, ‘সব ধরনের নথি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ যাঁদের নামে নিজস্ব জমি নেই, তাঁরা ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর নথি জমা দিতে পারবেন না৷ রেসিডেন্স সার্টিফিকেট বলে কিছু নেই৷ পাসপোর্ট সবার থাকে না৷’
যদিও বিচারপতি সূর্য কান্ত পাল্টা বলেন, ‘বিহারকে এ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন না৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলিতে বিহারের প্রতিনিধিত্ব সবথেকে বেশি৷ দেশের সর্বাধিক আইএএস, আইপিএস, আইএফএস অফিসাররা বিহারেরই বাসিন্দা৷ যুবসমাজের মধ্যে অনুপ্রেরণা না থাকলে এটা সম্ভব হয় না৷’
এর পাল্টা সিঙ্ঘভি বলেন, ‘বিহারে এই ধরনের প্রতিভাবান মানুষ নিশ্চয়ই আছেন৷ কিন্তু তাঁরা সংখ্যায় খুবই সীমিত৷ বিহারে প্রচুর বন্যাপ্রবণ, গ্রামীণ এলাকা রয়েছে৷ তাঁদের জন্য এগারোটি নথির তালিকা দেওয়ার মানে কী? এঁদের অধিকাংশই এই সমস্ত নথি জমা দিতে পারবেন না৷ আমরা ভোটার তালিকার প্রকৃত এবং যথাযথ তথ্য যাচাইয়ের কথা বলছি৷’
সিঙ্ঘভি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিহারের মাত্র ১-২ শতাংশ মানুষের পাসপোর্ট রয়েছে৷ সবমিলিয়ে রাজ্যে ৩৬ লক্ষ মানুষের পাসপোর্ট রয়েছে বলে দাবি করেন সিঙ্ঘভি৷ যদিও এ কথা শুনে দুই বিচারপতি বলেন, রাজ্যে ৩৬ লক্ষ মানুষের পাসপোর্ট থাকা মানে সেই সংখ্যা যথেষ্টই৷